জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন - কমরেড মুশফিক বরাত
September 15, 2025 at 2:15 pm,
No comments
জামায়াতে ইসলাম একটি ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনৈতিক দল।তাই এদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।বিশেষত তাই বলতেই হয়, এদের ধরিয়ে দিন। ছাত্রশিবিরের অধিকাংশ প্যানেল ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছে। ছাত্রশিবিরকে তাই আগের মতো একদম একঘরে করে রেখে আর লাভ হবে না।প্রয়োজন জাতীয় প্রতিরোধের।
দেশের সকল অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলকে এই প্রতিরোধের অংশ হতে বলছি।সর্বদলীয় ঐক্যবদ্ধ মোর্চা গড়ে তুলে জামায়াতে ইসলামীকে প্রতিহত করুন।তাদের প্রতিহিংসাকে পরাভূত করুন।সকল বাম সংগঠন, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সেক্যুলার, প্রগতিশীল, বুর্জোয়া ও পেটিবুর্জোয়াসহ দল-মত নির্বিশেষে একত্রিত থাকুন।অতি শীঘ্রই কাস্তে, হাতুড়ি, বর্শা, লাঠি, দা-বল্লম, তীর-ধনুক নিয়ে ছাত্রশিবির এদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে।আর পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
একজন মুসলিমকে প্রতিদিন শুধুমাত্র নামাজেই দুইশত সাতাশি বার আল্লাহুর নাম জপতে হয়।তাছাড়া রমজান মাসে বিশ রাকাত তারাবীহ নামাজ অতিরিক্ত ও ইসলামী জলসা তো চলছেই।তাই এই ইসলামকে কোন অর্থে ও কোন বৈশিষ্ট্যে দর্শনের মর্যাদা দেওয়া যায়!এটা এক ধরণের ভাওতাবাজি।হিন্দুরা তেত্রিশ কোটি দেবতার নাম জপে অশিক্ষিত জনতা পুষছেন।এটা কোন দর্শনের পর্যায়ে পড়ে?যা মুর্খামি ভিন্ন অন্য কিছু নয়।খ্রিস্টানবর্গীয় দর্শন খুবই সীমিত ও স্বল্প মাত্রার।বৌদ্ধধর্মের মূলমন্ত্র অহিংসা চর্চা এক ধরণের উপহাস ছাড়া কিছু নয়।মূলতঃ হয়ে উঠতে হবে বিপ্লবাত্মক।এক ধরণের দর্শনহীন কল্পিত দর্শনের চর্চা আর কতদিন পাত্তা পাবে?
শাদা পলেস্টার কাপড় দিয়ে খাদ্য প্রদানের দোকানগুলো ঢেকে রাখতে হবে।একথা বলে ইসলামী মৌলবাদীরা কি মিন করতে চাইছেন!জনগণের উপবাসের গৌরব ছড়িয়ে দিতে হবে!!এ কোন ধরণের গৌরব?এ গৌরবের অপচেতনা তারা কোন কোন গ্রন্থে পেল?সেসব গ্রন্থসমূহকে অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
তাছাড়া জোরপূর্বক এসব রাস্তাঘাটে ছড়ানো ও অবৈধ বলপ্রয়োগ তাদেরকে ক্রমশ বিপদগ্রস্ত করে তুলছে না!এ ভুল তাদের কবে ভাঙবে?বলপ্রয়োগ চলতে পারে একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী।নানা কায়দায় সারাবছরব্যাপী বলপ্রয়োগ তাদের ব্যাপকতা বাড়াবে নাকি অবশেষে কাঁটার মুকুট পরিয়ে দেবে; সেটাই এখন দেখার বিষয়বস্তু।
জামায়াতে ইসলামী এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা জাতীয়তাবাদের ধার ধারে না।জাতীয়তাবাদের ধারণা ছাড়া রাজনৈতিক দল অকল্পনীয়।এটি একটি অলীক স্বপ্নের বাস্তবায়ন।দেশকে জঙ্গিবাদী মদদ ও বিজ্ঞানের বিপক্ষে শক্তি জোগাড় করছে।দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য যা মারাত্মক হুমকি।ধর্ম কখনো রাজনীতি স্বীকার করে না; বিশেষত ইসলাম ধর্ম তো নয়ই।নবী হযরত মুহাম্মদের আমলে এসবের প্রচলন ছিল না।তিনি রাজনীতি জানতেন না সুতরাং বুঝতেও বলেন নি।ধর্মীয় রাজনীতি শেষ নবীর আদর্শকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।এদেরকে ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকড়াও করুন ও সশ্রম কারাদণ্ডে পাঠিয়ে দিন।সেটাই বর্তমানকালীন যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ।
- কমরেড মুশফিক বরাত, কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট, এনপিসি।