প্রগতি আদিবাসী পরিষদ-এর আট দফাঃ
২. রাখাইন সম্প্রদায়ের নিজ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাও।
৩. স্বাধীন মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করুন।
৪. অসাম্প্রদায়িক মিয়ানমার গঠনে সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত কর।
৫. আশু সমাজতান্ত্রিক মিয়ানমার প্রয়োজন।সকলে ঐক্যবদ্ধ হউন।
৬. ধর্মনিরপেক্ষ ও আরাকান জাতীয়তাবাদের লাল পতাকায় সামিল হউন।
৭. স্বাধীন মিয়ানমারে সমাজতন্ত্রের ঘোষণা দাও, দিতে হবে।
৮. সঠিক দ্বান্দ্বিক বিবর্তনের চর্চা অব্যাহত রাখুন।
Business to Equality( B to E )
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক ফ্রন্টের ( এনপিসি ) দশ দফা দাবিনামাঃ
২. পূর্বের ন্যায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে পোষ্যদের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীতে নিয়োগ দান।
৩. রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা চালু কর।
৪. প্রকল্প ও অস্থায়ী টিএলআরদের তিন বছর কর্মরত থাকলে আইন অনুযায়ী চাকুরী স্থায়ীকরণ করতে হবে।
৫. রেলওয়ে পাশের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ আন্তঃনগর ট্রেনের সিট বরাদ্দ রাখতে হবে।
৬. তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা কর, করতে হবে।
৭. সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আধুনিক ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করা।
৮. স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে সঠিকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা।যাত্রী সেবা ও মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
৯. পূর্বের ন্যায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আর.এন.বি দ্বারা ট্রেন পরিচালনা করা।
১০. সমগ্র বাংলাদেশকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা।
একুশে চেতনা পরিষদ --- Mushfiq Borat
National Progressive Council ( Marxist-Boratist ) ছয় দফা :
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি --- কমরেড মুশফিক বরাত
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্ট এ ব্যাপারে পার্টিগতভাবে হতাশা ব্যক্ত করেন।জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলের সভাপতি কমরেড মুশফিক বরাত বলেছেন, এমন ট্র্যাজেডি বাংলাদেশে যেন আর কখনোই না ঘটে।এ ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন ভীষণ জরুরী।বিশেষ করে, সরকারের সুদৃষ্টি একান্তই কাম্য।
An open proposal letter to communist party planet earth from NPC & Benzene Ring Society by president Mushfiq Borat
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে বামপন্থা কী?
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ বা মাওবাদকে একত্রে বলা হয় মার্কসবাদী।আর দ্বান্দ্বিক বিবর্তনবাদকে বলা যায় বরাতবাদ ( Boratism).তাহলে বামপন্থা হলো দুটো- দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ আর দ্বান্দ্বিক বিবর্তনবাদ। NPC ( National Progressive Council ) এই দ্বিতীয় ধারার প্রথম রাজনৈতিক দল।তাও পুরো পৃথিবীর মধ্যে।
তাদের উভয়ের লক্ষ্য দেশে দেশে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করা।এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে তদানুযায়ী যুগপৎ আন্দোলনে প্রবেশ করা।
এনপিসির সাথে কাজ করুন।শ্রমিকদের নিয়ে দলে দলে যুক্ত হন।পুঁজিবাদী বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী।প্রথমতঃ শ্রমিকদের একত্রিত করার দায়িত্ব নিতে হবে।আর কৃষকদের সাথে মৈত্রীর ভিত্তিতে বিপ্লব করতে হয়।পেটি বুর্জোয়া গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে এসে কমিউনিস্ট পার্টি যে দায়িত্ব নিয়েছে।আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্ট যে লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্টের বক্তব্য হলো- We are the Boratist.
এনপিসি-র অঙ্গসহযোগী সংগঠন মনোবিহঙ্গম সাংস্কৃতিক জোট --- মুশফিক বরাত
বিশেষ করে চারুকলার জন্য প্রথাবিরোধী-মুক্তবুদ্ধির কিছু চিত্রকর্ম শিল্পী প্রয়োজন।যারা হবেন মুক্তমনা।শোষিত মানুষের নিপীড়নকে প্রতিবাদী তুলিতে ব্যক্ত করবেন।তাদের ছবিতে বঞ্চনার চিত্র ফুটে উঠবে।কৃষক-শ্রমিকের আর্তনাদ ফুটে উঠবে।বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেবেন যে আমরাও পারি।মোটকথা, পাবলো পিকাসোর কাতারে পৌঁছুতে চাই।দ্বান্দ্বিক বিবর্তনিক দৃষ্টিভঙ্গি চাই।পরিশেষে নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হবার আহ্বান রইল।
ছবি যেন নিম্নবিত্তের কথা বলে, গান যেন শোষক শ্রেণীর মুখোশ খুলে দেয়।নাট্যকলা নিজ দেশের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠে।নৃত্যের উদ্দাম তালে-ছন্দে গেয়ে উঠবে বাংলা।
NPC-র সাত দফা দাবিনামা:
২. সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলস্রোতকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতকরণ।হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে জোর দিতে হবে।
৩. সংবিধানের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিতে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক-সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক নব্য রাষ্ট্র ঘোষণাকরণ।
৪. দেশের অধিকাংশ জেলাকে যৌথখামারের আওতায় এনে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য ফিরিয়ে দেওয়া ও সমবণ্টনের ব্যবস্থা করা।
৫. নব্য ধনীদের সুষমবণ্টনের আওতায় আনা।
৬. মহাকাশ গবেষণার্থে ' জাতীয় মহাকাশ নীতি ' ঘোষণাকরণ।এবং দেশে দেশে তার সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন।
৭. স্বদেশী বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রস্তুত করে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান।তাদের সরকারি বাসস্থানের সুব্যবস্থা কর।
নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বেনজিন রিং সোসাইটির সবুজ প্রস্তাব ---- কমরেড মুশফিক বরাত
এ প্রস্তাবে রাজি না হলে বাংলার বামপন্থীদের নিয়ে আসবে আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি।রাষ্ট্রপতিকে যেমন হতে হয় বিচক্ষণ তেমনি অভিজ্ঞতাপূর্ণ।বেনজিন রিং সোসাইটির বিশেষ মিটিংয়ে মসিউর রহমানকে রাষ্ট্রপতির পদ দেবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।নির্বাচন নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য সন্তোষজনক নয়।মসিউর রহমানের প্রথম দায়িত্ব হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ।রাজনৈতিকভাবে তিনি কারুরই মতাদর্শের শিকার হবেন না।মোটকথা, তাকে আগাগোড়া সৎ ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে।সভাপতি মুশফিক বরাতের ( আমি ) মন্তব্য হলো, ' দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন ও দাবি-দাওয়া আদায়ে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।'
বেনজিন রিং সোসাইটির এলিট মেম্বার হৃদয় চন্দ্র দাস এ ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।কালোবাজারি, ঘুষ, অর্থ কেলেঙ্কারি, নারী পাচার নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।এসব কারণে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে হবে।দুর্নীতির মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে।এজন্যে বেনজিন রিং সোসাইটি যেমন এগিয়ে এসেছে তেমনি সকল কমিউনিস্ট পার্টিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।তাহলেই বিপ্লব সম্ভব।
An open proposal letter to NASA from IAA & Benzene Ring Society — Mushfiq Borat
বেনজিন রিং সোসাইটি ২০১৩ সালে গঠিত হয়েছিল। ঢাকার ধানমন্ডিতে যার জন্ম। International Astronomy Association পৃথিবীর চারটি প্রধান মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে প্রাধান্য দেয়। যার মধ্যে প্রথমেই আসে NASA-র নাম। তারপর একে একে আসে European Space Agency, Indian Space Research Organisation & SPARRSO-র নাম। শুধুমাত্র NASA-কে প্রধান সংস্থা বানিয়ে বিদায় হয়ে গেলেই চলবে না। এই চারটি মহাকাশ সংস্থাকে নিয়ে পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সকল Space Agency-র নেতৃত্বে পৌঁছুতে হবে। যাতে NASA থাকবে প্রধান ভূমিকায়। International Astronomy Association (IAA) হলো Benzene Ring Society-র একটি সহযোগী সংগঠন।
একটি এক্সোপ্ল্যানেটে কিংবা সৌরমন্ডলের গ্রহে প্রাণের অনুসন্ধানে যেমন পানির ( H2O ) উপস্থিতির খোঁজ প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন জৈব অণুর খোঁজ।
জীবদেহ গঠন করতে যেসব অণু প্রত্যক্ষভাবে পাওয়া যায় তাদের বলা হয় জৈব অণু (Biomolecule). যেসকল অণুতে ২৫টিরও বেশি মৌলিক পদার্থ পাওয়া সম্ভব। এগুলোর মধ্যে সাধারণ উপাদান হলো ছয়টি মৌলিক পদার্থ (আমার বেনজিনীয় ষষ্ঠতলকীয় তত্ত্বের মতোই)। যাদের ইংরেজি বানানের আদ্যাক্ষর নিয়ে শব্দ সংক্ষেপ করা হয়েছে তা হলো- CHNOPS. যথা- (Carbon, Hydrogen, Nitrogen, Oxygen, Phosphorus and Sulfur). পৃথিবীর আদিম মহাসমুদ্রে যে সকল অণু তৈরি হয়েছিল তাদেরই বলা হয় জৈব অণু। সবচেয়ে সরল জৈব যৌগ হচ্ছে হাইড্রোজেন ও কার্বন দিয়ে। বেনজিনের মতোই। জৈব যৌগের প্রাথমিক সদস্য হলো মিথেন।
বিবিসি’র তথ্যানুযায়ী, কিউরিওসিটি রোভার রোবটযান মঙ্গলগ্রহের বুকে গেল ক্রেটার নামে একটি জ্বালামুখের ভেতর থেকে কার্বন ও সালফার পেয়েছে যা গ্রাণের অস্তিত্বের জন্য জরুরী। বলা বাহুল্য যে, কার্বন ও সালফার দুটোই জৈব অণু। IAA ও Benzene Ring Society-র দাবী হলো, কোন গ্রহে প্রাণের অনুসন্ধান চালাতে হলে জৈব অণু ও পানি উভয়েরই সমান গুরুত্বের সহিত খোঁজ চালাতে হবে। নইলে প্রাণের অনুসন্ধান ব্যর্থ হবে কিংবা সঠিকভাবে কাজ করবে না।
বেনজিন একটি অ্যারোমেটিক যৌগ। বেনজিনের গঠন থেকে দেখা যায় যা ৬ সদস্যের একটি চক্রীয় যৌগ। হাকেল তত্ত্ব অনুসরণে, বেনজিন অণুতে ৬টি পাই ইলেকট্রনের উপস্থিতি প্রয়োজন। বেনজিন অণুতে তিনটি দ্বিবন্ধনে ৬টি পাই ইলেকট্রন রয়েছে। ৬টি পাই ইলেকট্রনের উপস্থিতি হাকেল তত্ত্বকে অনুসরণ করে। কিছু বেনজিন জাতক যৌগ হলো ন্যাফথালিন, পিরিডিন, সাইক্লোহেক্সাডাইইন, সাইক্লোহেক্সাট্রইইন অ্যানায়ন, পাইরান, অক্সাজিন, থায়াজিন, পিরিমিডিন, পিপারেজিন ও থাইইন। এগুলোর সার্বিক গবেষণায় নজর দেওয়াটা জরুরী। এই যৌগগুলোর মিলিত রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কি কি উৎপন্ন হবে তাও দেখার বিষয়।
জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত মিথেন, পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, কেরোসিন, কাঠ ইত্যাদি জৈব পদার্থ। আপনারা জানেন যে, জৈব যৌগ কার্বন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত হয়। তেমনি বেনজিনও কার্বন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি নিয়ে আন্দোলনের শেষ নেই। বামপন্থী ও ডানপন্থী উভয় সংগঠনই জ্বালানি নিয়ে মুভমেন্ট চালাচ্ছে। সভা- সেমিনার- বক্তৃতা- মিছিল হচ্ছে। বেনজিন অ্যারোমেটিক যৌগ নিয়ে গবেষণা চালালে যা গবেষণাগারে তৈরি সম্ভব।
তাছাড়া আবার নতুন করে ফ্রিডেল ক্রাফট (Fridel-Crafts reaction) বিক্রিয়ার দিকে নজর দেবার সময় এসেছে। সংক্ষেপে বললে, অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড বা অন্য কোন লুইস এসিডের উপস্থিতিতে বেনজিনের সাথে RX বা RCOX বিক্রিয়ায় বেনজিনের এক বা একাধিক হাইড্রোজেনকে অনুরূপ সংখ্যক অ্যালকাইল দ্বারা প্রতিস্থাপন করে (R-) বা (RCO-) প্রতিস্থাপিত বেনজিন উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে ফ্রিডেল ক্রাফট বিক্রিয়া বলে।
অ্যালকেনের কয়েকটি সদস্যের নাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- মিথেন, ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন। আমরা সিগারেট ধরাতে যে লাইটার ব্যবহার করি তাতে সাধারণত বিউটেন গ্যাস থাকে। বিউটেনের স্ফুটনাংক −5 ° সে. । কিন্তু এতে বিউটেন তরল অবস্থায় থাকে। বিউটেনের সংকেত হলো, CH3-CH2-CH2-CH3.
এবার NASA-র প্রসঙ্গে আসা যাক। এতক্ষণ ধরে যা আলোচনা হলো তার প্রায় সবই জৈব যৌগ। নাসার প্রতি দাবি রইলো, জৈব যৌগ শুধুমাত্র জৈব যৌগ নিয়ে গবেষণার জন্য একটি আলাদা department (a particular Center) খোলা। নাসাতে বেশকিছু department রয়েছে। যেমন- Jet Propulsion Laboratory, Wallops Flight Facility, Johnson Space Center কিংবা Armstrong Flight Research Center ইত্যাদি। এখানে আরেকটি particular Center খুলতে হবে যার নাম হবে Benzene Ring Society. যেখানে শুধুমাত্র জৈব যৌগ নিয়ে গবেষণা হবে এবং যারা মহাকাশের গ্রহগুলোতে প্রাণের অনুসন্ধানে জৈব অণু ও পানির খোঁজ করবে। আর এসবই দাঁড়াবে একটি সংগঠনের (organization) ব্যানারে বা প্ল্যাটফরমে (Platform). সেটার নাম হলো International Astronomy Association (IAA). NASA ছাড়াও ESA, ISRO, JAXA, UAE Space Agency, Canadian Space Agency এর সদস্য হতে পারবে।
NASA-র গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর দিকে নজর দেওয়া যাক। ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ তৈরি করা হয়েছে। যাতে নাসার সঙ্গ দিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি। পৃথিবীর ১০ থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই টেলিস্কোপ। ইউনিভার্সের রহস্য উন্মোচনে কাজ করবে এই টেলিস্কোপ। এতে Roscosmos-এর সহযোগিতা নিলেও বেশ করতো নাসা। এখনো তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের দেখা মেলেনি। তবে সাফল্য আসছে। মহাকাশে হেঁটে আইএসএসের একটি অ্যানটেনা পরিবর্তন করেছেন দুই নভোচারী। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় কাজটি সেরেছেন তারা। যারা কাজ করেছেন তারা হলেন- থমাস মার্শবার্ন ও কায়লা ব্যারন। ৩৪ বছর বয়সী ব্যারনের মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম। অ্যানটেনাটির বয়স ছিল ২০ বছরের বেশি।
রকেট ছুড়ে ধেয়ে আসা গ্রহাণুর পথ পরিবর্তন করবে নাসা। ঘটনাটি সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের দ্যা গার্ডিয়ান বলেছে, মহাকাশের সঙ্গে এই এক দিনে বদলে যাবে আমাদের সম্পর্ক। পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্তির মূল কারণ গ্রহাণুর আঘাত বলে ধরা হয়। মহাজাগতিক বস্তুর আঘাতে মারা যায় ডাইনোসর। মানুষের কপালে একই ভাগ্য আছে কিনা তাও ভাববার সময় এসেছে এখন!!
তাছাড়া আমি NASA Earth-এর official facebook page-র একজন Top fan হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের “নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতা ২০২০”-র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৫০ দেশের ৩৮০০ প্রজেক্টের মধ্যে বাংলাদেশের টিম ‘বুয়েট জেনিথ’ অনারেবল মেনশন ক্যাটাগরিতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নাসা বলছে, এলিয়েনরা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। তাদের সাথে লড়াইয়ের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা প্রয়োজন। আমাদের সোলার সিস্টেম বা সৌরমন্ডলের বাইরে ৫০০০-র বেশি গ্রহ বা Exoplanet রয়েছে। বহির্জগতে প্রায় ৩০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণের পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। এই সমস্ত এক্সোপ্ল্যানেটে রুক্ষ পাথুরে পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। যেসবের আয়তন পৃথিবীর তুলনায় বড় হয় তাদের বলা হয় ‘সুপার আর্থ’। কিছু কিছু আছে গ্যাস জায়ান্ট। এগুলোকে ‘মিনি নেপচুন’-ও বলা হয়। এদের বেশির ভাগই মৃত বা মৃতপ্রায় নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ের বাইরে অনেক এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পেয়েছেন তারা। IAA ও Benzene Ring Society-র যৌথ উদ্যোগে আমরা এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজছি। আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। SPARRSO এ ব্যাপারে বৃহৎ ভূমিকা রাখছে। কোনো গ্রহকে প্রাণ থাকার উপযোগী হতে হলে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যেমন- (ক) পাথুরে গ্রহ হতে হবে, (খ) গ্রহগুলোকে ছোট হতে হবে, (গ) জীবনধারণের উপযোগী স্বরূপ, (ঘ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হলো, গ্রহটিকে তার মাতৃনক্ষত্রের এমন কক্ষপথে থাকতে হবে যাতে যেখানে পানি থাকে। আর সেই গ্রহেই ঠাঁই মিলবে আমাদের- বেঁচে যাবে মানবজাতি। এমন দশটি এক্সোপ্ল্যানেট হলো যথাক্রমে- Gliese 667Cc, KEPLER-22B, KEPLER-69C, KEPLER-62F, KEPLER-186F, KEPLER-442B, KEPLER-452B, KEPLER-1649C, PROXIMA CENTAURI B ও TRAPPIST-1E.
জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change)-কে নিয়ে কাজ করা বেনজিন রিং সোসাইটির (BRS) অন্যতম পদক্ষেপ। বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে এটি কাজ করছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের সাথে যৌথভাবে কাজের জন্য BRS-এর পক্ষ থেকে আলোচনা হয়েছে। কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃহত্তম গ্রীন হাউস গ্যাস কিন্তু মিথেন, সিএফসি, ওজোন, নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস গ্রীন হাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের উন্নত ৬টি দেশ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গত করে। তারা হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত ও জাপান। ওজোনস্তর ক্ষয় খুব ভয়ংকর একটি বিষয়। বায়ুমন্ডলের স্ট্রাটোস্ফেয়ারে ওজোন গ্যাস থাকে। এখানকার ওজোন গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত স্তরকে ওজোনস্তর বলে। সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি (UV) ওজোনস্তর ক্ষয় করে। নাম সংগঠন হিসেবে BRS একটি জলবায়ু পরিবর্তনরোধী সংগঠন। এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কী তা আমাদের ভেবে দেখা উচিত। এতে পানির সংকট তৈরি হবে। খাদ্য উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়বে। কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা বিপজ্জনক হারে বেড়ে যাবে ও সমুদ্রের পানি বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হবে। অনেক জায়গা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। উত্তর মেরুর জমাট বাধা বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। সাগরের উচ্চতা বেড়ে যাবার কারণে উপকূলের নিচু এলাকা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সাইবেরিয়া থেকে মিথেন গ্যাস বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে বন-জঙ্গলে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বসবাস। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলবর্তী অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উন্নত দেশগুলোকে বলা হচ্ছে ২০৫০ সাল নাগাদ গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। এ সময়টায় খুব করে গাছ লাগানো ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারে।
এসব ব্যাপারগুলোতে যেমন IAA এগিয়ে আসছে তেমনি বেনজিন রিং সোসাইটি (Benzene Ring Society)-ও এগিয়ে আসছে। তাই নাসা (NASA)-র প্রতি উদাত্ত আহ্বান এ সমস্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখুন এবং মহাকাশ গবেষণা ও বিশ্বরক্ষায় এগিয়ে আসুন।
বর্তমান সময়ের আহ্বান — মুশফিক বরাত
প্রত্যেক দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানের সবচেয়ে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা দিতে হবে। যেমন- বাংলাদেশের ক্ষেত্রে SPARRSO , ভারতের ক্ষেত্রে ISRO, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ESA; তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে NASA. বিজ্ঞান আন্দোলনের ক্ষেত্রে পুরুষ-নারী উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে।
বেগম রোকেয়া যেমন প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন নারী জাগরণে তেমনি বেনজিন রিং সোসাইটি প্রথম প্রকাশ্য ঘোষণা রেখেছে মহাকাশ জয়ের। একের পর এক বাসযোগ্য গ্রহে বসতি স্থাপনের আর হাইড্রোজেন ফুয়েল সংগ্রহ করতে করতে সম্পূর্ণ ইউনিভার্স ভ্রমণের। যা ভিন্ন কোনো অত্যাধুনিক নয়া আবিষ্কৃত জ্বালানি দিয়েও সম্ভব হতে পারে। মানুষকে শীঘ্রই নেমে পড়তে হবে এক্সোপ্ল্যানেট সন্ধানে।
বাংলাদেশেও নাসার মতো যোগ্য প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন আছে যেমন SPARRSO- কে শক্তিশালী করাটা আরো জরুরী। তাছাড়া NASA ও SPARRSO-র মিলিত সংগ্রামে মহাকাশ গবেষণায় আসতে পারে নতুন মাত্রা, ভিন্ন আঙ্গিক। ঢাকার অদূরে বিজ্ঞানের সবগুলো শাখায় জোর দিয়ে একটি সর্বাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানুষ এখনো আপন গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে (আকাশগঙ্গা) পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারেনি তাহলে মহাবিশ্বের সবগুলো গ্যালাক্সি কিংবা অবজারভেবল ইউনিভার্সের বাইরে বাদবাকি নব্বুই ভাগ গ্যালাক্সির কাছে পৌঁছুবে কবে! সাম্রাজ্যবাদী দেশের সাথে শুধুমাত্র মহাকাশ গবেষণায় বন্ধুত্ব হতে পারে কিন্তু রাজনৈতিক প্রশ্নে নয় । একথা জেনে রাখাটা উচিত যে,বেনজিন রিং সোসাইটি একটি প্রগতিশীল সংগঠন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ১০০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী তলিয়ে যেতে চলেছে-ধ্বংস হতে চলেছে। সেজন্যে “মডেল গ্রীন হাউস”এর দিকে নজর দেওয়াটা একান্ত কাম্য। তাহলে মানুষ কি পারবে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার শেষ লড়াইটা চালাতে?
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৫১০ কোটি টাকা সামাজিক অবকাঠামোয়। যোগাযোগ ও অবকাঠামো এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে বাজেট অত্যধিক । অন্যদিকে মহাকাশ গবেষণায় বরাদ্দ নেই। তাই শতকরা পাঁচ ভাগের দাবি রইল।
খনিজ সম্পদ এদেশের জনগণের সম্পদ। এক্ষেত্রে দেশের মানুষের একশো ভাগ মালিকানার দ্বায়ভার নিশ্চিত এবং তেল-গ্যাসের জাতীয়ভিত্তিক সুষম বণ্টন জরুরী। উন্নত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি দিয়ে তেল-গ্যাস-কয়লা উত্তোলিত হলে ব্যয় কমবে এবং রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকে নজর না দিয়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও ইউএসএইডের দিকে তাকিয়ে থাকাটা বোকামি। দেশের অসংখ্য তরুণ ক্রিয়েটিভ মেধায় ডিগ্রি অর্জন করেছে। তাদের সামর্থ্য পরিক্ষিত, মেধা যথেষ্ট আর কর্মদক্ষতা প্রমাণিত। এভাবে কর্মপন্থা নির্ধারণ করলে শিল্পায়ন ও জ্বালানিতে মৌলিক পরিবর্তন সম্ভব।
আমাদের দেশটা কৃষিনির্ভর। দেশের বেশিরভাগ মানুষের জীবনযাত্রা নির্ভর করে কৃষির উপর। পর্যাপ্ত দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তিসহ আমাদের রয়েছে প্রচুর কৃষিজ কাঁচামাল। ক্ষুদ্র ও বৃহদায়তন কুটির শিল্প এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক আশার আলো দেখাতে পারে। সবজি, ফুল-ফল ও চিনি জাতীয় পণ্য উৎপাদনে সৃষ্টিশীল বুদ্ধিবৃত্তিক মেধার ব্যবহার উন্নত জাত ও বীজ উদ্ভাবনে সহায়তা দেবে।
বেনজিন রিং সোসাইটির বর্তমান আট দফা-
১। প্রত্যেক জেলায় উচ্চতর গবেষণার্থে সরকারি অর্থায়নে একটি করে বেনজিন রিং সোসাইটি স্থাপন করতে হবে। এবং সেখানে মহাকাশ গবেষণায় প্রাধান্য থাকবে।
২। মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের বাজেটে কমপক্ষে ৫% বরাদ্দ দিতে হবে।
৩। আবহাওয়ার পূর্বাভাস গ্রহণে একটি উন্নত স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করতে হবে। যা হবে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস গ্রহনে সক্ষম।
৪। ঢাকার অদূরে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক গবেষণায় একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন জরুরী । যেখানে বিজ্ঞানের নানা শাখায় SPARRSO-র নেতৃত্বে সৃষ্টিশীল মেধার কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ কর।
৫। বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে প্রাকৃতিক ও জাতীয় সম্পদের সঠিক উত্তোলন। আর দেশের অভ্যন্তরীণ স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকৃত বণ্টন নির্ধারণ ও দেশীয় স্বার্থে কঠোর নজরদারি।
৬। পরিবেশবান্ধব কৃষির উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ।
৭। প্রত্যেক জেলায় ১০ একর জমিতে ৩০ (ত্রিশটি) করে “মডেল গ্রীন হাউস” তৈরি করতে হবে। যেখানে ফলমূল-শাকসবজি ও ফুলের চাষাবাদের ব্যবস্থা তৈরি এবং উপজেলা কৃষি অফিসারের নেতৃত্বে থানায় থানায় তা পৌঁছিয়ে দিতে হবে।
৮। কলকারখানার পরিকল্পিত স্থাপন জরুরী ও বর্জ্য নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবেশ দূষণ কমানোয় জোর দাও।
একটি আশা জাগানিয়া রাষ্ট্র সুদান --- মুশফিক বরাত
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বর্তমান কার্যকরী পদক্ষেপ --- মুশফিক বরাত
বেনজিন রিং সোসাইটির ৫ দফা কার্যকরী দাবিনামা :
Date: 04/08/2021
কেট উইন্সলেট --- মুশফিক বরাত
ইতালীয় রেনেসাঁর দা ভিঞ্চি --- মুশফিক বরাত
ছবি : ভার্জিন অব দ্য রকস
কিউবিস্ট আন্দোলনের পাবলো পিকাসো --- মুশফিক বরাত
ছবি :
গুয়ের্নিকা
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অঙ্গীকার --- মুশফিক বরাত
Date : 17/06/2021