দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও চব্বিশের অনুপ্রেরণা - কমরেড মুশফিক
September 16, 2025 at 11:42 pm,
No comments
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে।যাতে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।বাংলার আকাশ, স্থলভাগ, নৌপথ ও সীমান্ত আমরা মুক্ত রাখতে পেরেছি।কোনো ধরণের বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সুদীর্ঘ একটি বছর অতিক্রম করতে পেরেছে।দেশে বিদেশী শত্রুদের আনাগোনা আমরা দেখিনি।বাংলার আপামর জনতা এই অভ্যুত্থান ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।বলা যায়, তারা জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলকে নিয়ে পুরোমাত্রায় সফল।আরো বলা যায়, জয়-পরাজয়ের ভাগিদার হতে আসিনি; অভ্যুত্থান সফল করতে এসেছি।ফলশ্রুতিতে জনগণ বিজয়ী হয়েছে ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেছে।
জামায়াতে ইসলাম একটি ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনৈতিক দল।তাই এদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।বিশেষত তাই বলতেই হয়, এদের ধরিয়ে দিন। ছাত্রশিবিরের অধিকাংশ প্যানেল ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছে। ছাত্রশিবিরকে তাই আগের মতো একদম একঘরে করে রেখে আর লাভ হবে না।প্রয়োজন জাতীয় প্রতিরোধের।
দেশের সকল অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলকে এই প্রতিরোধের অংশ হতে বলছি।সর্বদলীয় ঐক্যবদ্ধ মোর্চা গড়ে তুলে জামায়াতে ইসলামীকে প্রতিহত করুন।তাদের প্রতিহিংসাকে পরাভূত করুন।সকল বাম সংগঠন, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সেক্যুলার, প্রগতিশীল, বুর্জোয়া ও পেটিবুর্জোয়াসহ দল-মত নির্বিশেষে একত্রিত থাকুন।অতি শীঘ্রই কাস্তে, হাতুড়ি, বর্শা, লাঠি, দা-বল্লম, তীর-ধনুক নিয়ে ছাত্রশিবির এদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে।আর পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
গাঁজাকাণ্ডে আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।মাদক হলো নেশা উদ্রেককারী বস্তু, যা মানুষের মস্তিষ্কের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করে দেয়, যার প্রভাবে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করে না। গাঁজা, ফেনসিডিল, চরস, ভাং, গুল, জর্দা, হেরোইন, প্যাথেড্রিন, মদ, ইয়াবাসহ সবই মাদকের অন্তর্ভুক্ত। যখন কেউ এসব দ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তখনই তাকে 'মাদকাসক্ত' বলা হয়। মাদক সব অপরাধের আকর। ছাত্রশিবির নামক একদল রগকাটা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের সহায়তায় ঢাবিতে এই নেশাজাতীয় মাদক গ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না।তারা নামে-বেনামে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সাথে ব্যবসায় জড়িত।তাছাড়া খুন, ধর্ষণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষক লাঞ্ছনা, শিক্ষক নির্যাতন ও নারী শিক্ষকদের হিজাবে বাধ্য করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে।এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে গণআন্দোলন ও গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
জামায়াতে ইসলামী এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা জাতীয়তাবাদের ধার ধারে না।জাতীয়তাবাদের ধারণা ছাড়া রাজনৈতিক দল অকল্পনীয়।এটি একটি অলীক স্বপ্নের বাস্তবায়ন।দেশকে জঙ্গিবাদী মদদ ও বিজ্ঞানের বিপক্ষে শক্তি জোগাড় করছে।দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য যা মারাত্মক হুমকি।ধর্ম কখনো রাজনীতি স্বীকার করে না; বিশেষত ইসলাম ধর্ম তো নয়ই।নবী হযরত মুহাম্মদের আমলে এসবের প্রচলন ছিল না।তিনি রাজনীতি জানতেন না সুতরাং বুঝতেও বলেন নি।ধর্মীয় রাজনীতি শেষ নবীর আদর্শকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।এদেরকে ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকড়াও করুন ও সশ্রম কারাদণ্ডে পাঠিয়ে দিন।সেটাই বর্তমানকালীন যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ।
- কমরেড মুশফিক বরাত, কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট, এনপিসি
