অতি শীঘ্রই বাংলাদেশের উন্নয়ন - মুশফিক বরাত
October 12, 2025 at 1:54 pm,
No comments
দেশের উন্নয়ন ও পুঁজিবাদ বিকাশের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান।সামন্তীয় সমাজ বিকাশের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাদের সৃষ্টি।পুঁজিবাদ একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী বিকশিত হতে পারে।তারপর সমাজতন্ত্রে প্রবেশ করতে হয়।সমাজতন্ত্র হলো সমতাভিত্তিক সমাজ।যেখানে উন্নয়ন অবশ্যই বাধাগ্রস্ত হবে।রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের মিলনাত্মক দ্বন্দ্বে টাকা বা ডলারের মূল্যমান হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটবে।তারপরও তাল রেখে দেশীয় জাতীয় বাজেট তখনই বৃদ্ধি পাবে না যখন অধিকাংশ দেশে সমাজতন্ত্র আসবে। PW Office Global Budget-কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক অন্যায়রকম প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিচ্ছে।যেটাকে মেনে নেওয়া যায় না।তাই আমরা আবশ্যিকভাবেই Communist World চাই।উন্নয়নের এই যে মাত্রাতিরিক্ত ঝোঁক তাকে সমূলে উৎপাটিত করার সময় এসেছে।এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের জন্য বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলন প্রস্তুত থাকুন।
বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি বাংলাদেশ সিটিতে রূপান্তর করতে হবে।দেশের জনগণের উচিত তথ্যানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।সেটা তখনই সফল হতে পারে যখন বাংলাদেশ একটি শিল্পপ্রধান দেশে পরিণত হবে।এক্ষেত্রে নব্বুই ভাগ সরকারি মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে।জরুরী বিষয়টা হলো, একমাত্র দেশীয় শিল্পকাঠামোর দিকে পুরোমাত্রায় নজর দেওয়া।বিদেশী বিনিয়োগ হতে পারে তবে তা ন্যূনতম আকারে।বর্তমানে দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ জনশক্তি বিদেশে চলে যাচ্ছে।যেটাকে আর মেনে নেওয়া যায় না।এ ধারণা সফল করতে হলে প্রয়োজন সশস্ত্র ও হিংসাত্মক প্রতিআক্রমণের।নিরীহ, নিরস্ত্র ও অহিংস হলে চলবে না।সেজন্যে জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলসহ সকল কমিউনিস্ট পার্টিকে এগিয়ে আসতে হবে।
একটি সমাজের অগ্রগতি ও প্রগতি যাচাই করার সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড হলো সেখানে নারীদের সামাজিক অবস্থান। সমাজে নারীরা যদি অবদমিত, অধিকারবঞ্চিত ও শোষণের শিকার হয়, তবে সে সমাজ যতই বাহ্যিক উন্নয়নের দাবি করুক না কেন, তাকে প্রকৃত অর্থে প্রগতিশীল বলা যাবে না। অন্যদিকে, যেখানে নারীরা শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করে এবং স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে পারে—সেই সমাজকেই সত্যিকার অর্থে উন্নত ও মানবিক সমাজ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
বাংলাদেশকে সিটিতে পরিণত করার জন্য প্রধান কাজ হবে শিল্পমুখী ও শিল্পনির্ভর হওয়া।সেজন্যে একদল True Communist-র পরামর্শ ও সার্বিক সততা প্রমাণ করার প্রয়োজন আছে।তাদের সংবিধানসম্মত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিতে হবে।বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশকে পুরোপুরি ঢেলে সাজাতে চাইলে কমিউনিস্টদের আবারো সৎ, দুর্নীতিমুক্ত ও আন্দোলনমুখী থাকতে হবে। PW Office-এ যথেষ্ট বাজেট আছে।দেশীয় নাগরিক ও শিল্প উদ্যোক্তারা নির্ভাবনায় ও নিশ্চিন্তে এগিয়ে আসুন।বাজেট ঘাটতি সরকারিভাবে মোকাবেলা করা হবে।আঞ্চলিক শিল্প ও বাণিজ্য উদ্যোক্তারা উপজেলার একজন কমিউনিস্টের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন ও পরামর্শ নিন।সততার প্রশ্ন ছাড়াও এখানে সাংস্কৃতিক-সেক্যুলার মানসিকতার প্রয়োজনীয়তা থেকেই যাচ্ছে।
- কমরেড মুশফিক বরাত, কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট, এনপিসি।