President of the World ও বাংলাদেশ - মুশফিক বরাত
১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়।স্বৈরাচার এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু হয়।তারপর ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শাসন ও শোষণ কায়েম থাকে।এরই ফাঁকে ৪৬ বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীর মেটিকুলাস ডিজাইন চলতে থাকে।এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে এই তিন দল।আরো একটি রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব পাওয়া যায় সেটা বিএনপি।এই চারটি দলই ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছে।দুর্নীতি, ঘুষখোর ও আমলাদের প্রকৃত আড্ডাখানা বানিয়েছে।সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে মেটিকুলাস ডিজাইন পাকাপোক্ত হয়েছে।এভাবে তারা দিনে দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠছে আর আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ বাড়াচ্ছে।দেশকে উদ্ধার করতে এখন প্রয়োজন বৃহত্তর বাম ঐক্যের।দেশজুড়ে বামফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা এখন আরো বেশি মাত্রায় উপস্থিত।
Progressive Writer's Forum লেখকদের মানোন্নয়নে ও বুদ্ধিবৃত্তিক মেধার উন্নতিকরণে কাজ করে যাচ্ছে। National Doctors Association বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল বিপ্লব ঘটিয়েছে। Benzene Ring Society বিজ্ঞানের উন্নয়নে ও মহাকাশ গবেষণায় নজর রাখছে। International Astronomy Association আমাদের Universe সম্বন্ধে সার্বিক ধারণা দিচ্ছে। Progressive Labour Front শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের গৌরবোজ্জ্বল ১৬ বছর অতিক্রম করেছে। Evolution Film Council বিশ্ব সিনেমা আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক প্লাটফর্ম।এই এতগুলো সংগঠন মিলে Comrade Mushfiq Borat-র President of the World কার্যক্রম পরিচালনা করছে।তাছাড়া World Peace Front বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে জনগণের এক মিলিত প্রচেষ্টা।আরো অসংখ্য সংগঠন President of the World-র মহাযজ্ঞ সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে।এবং পরিশেষে বলা যায়, আমাদের এ উদ্যোগ সফল ও বিশ্ববাসীর মিলনাত্মক দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ।
আমাকে President of Bangladesh ঘোষণা করার দাবি দীর্ঘদিনের; প্রগতি ছাত্র ফ্রন্ট কর্তৃক সেই জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালীন সময়ের।জুলাই যুদ্ধ ও আগস্ট অভ্যুত্থান বাঙালীর প্রাণের দাবি।তারপর বাঙালীকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।তারপর থেকে সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে আমরা এগিয়েছি।
দেশে ঘটছিল তখন পরিবর্তন ভীষণ।আমরা পরিবর্তনের পক্ষে ছিলাম।সেকারণে এনপিসি ও প্রগতি ছাত্র ফ্রন্টের দাবিগুলোকে অস্বীকার করা যায় না। কমরেড মুশফিক বরাতের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিচ্ছিল।আমরাও সশস্ত্র গণঅভ্যুত্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।সফলতার মুখ দেখেছি।অবশেষে সশস্ত্র জুলাই-আগস্ট বিপ্লব সফল হয়েছে।এনপিসির নেতৃত্বে একের পর এক সমাবেশ, গণজমায়েত, মানববন্ধন, মিছিল, মিটিং ও হরতালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, খুলনা, রাজশাহী ও সৈয়দপুর নগরীগুলো ফুঁসে উঠে। সংগঠিত হতে থাকে।পরিশেষে বলতেই হয়, জাতীয়তাবাদী এই আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা আগামী ৪০ বছরেও ফুরোবে না।