প্রজন্মযোদ্ধা ও আমরা - কমরেড মুশফিক বরাত
প্রজন্মযোদ্ধাদের হতে হবে সাহসী।শত্রুর দূর্গ নিমেষেই ভেদ করার সক্ষমতা রাখবে তারা।এগিয়ে যাবে সম্মুখ পানে মাথা উঁচু করে।সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলার আকাশ, নৌপথ ও স্থলভাগ সবসময় দখলে রাখবে।ঊনসত্তুরের পরাজিত শক্তির আর বাংলার মাটিতে ঠাঁই হবে না।বাংলার আকাশ আমরা রাখিব মুক্ত।দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সাম্রাজ্যবাদকে পরাভূত করবে।জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখন এই প্রজন্মের হাতে।প্রজন্ম ২৪ আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছে।ঢাকাসহ সারাদেশে এনপিসি নেতৃত্ব দিচ্ছে ও আবারো ছাত্রজনতাকে একত্রিত করছে।এই সংঘবদ্ধ শক্তিটি যেকোনো মুহূর্তে দেশের অভ্যন্তরীণ শত্রুকে দাবিয়ে দেবে।সেই আশাবাদ তো নিশ্চয়ই রাখা যায়।
উন্নত ধনী দেশগুলোতে বর্তমানে জমকালো পোশাকধারী ম্যাজিশিয়ান ভিক্ষুকের জন্ম হয়েছে।আর তৃতীয় বিশ্ব জন্ম দিয়েছে নাঙ্গা ভিক্ষুকের।এক ভিক্ষুক যেখানে আরেক ভিক্ষুকের প্রতিপক্ষ।বিষয়টা বেশ মজাদার।এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, একজন ভিক্ষুকের কাছে সমাজতন্ত্রের কী মূল্য থাকতে পারে!ভিক্ষুকের কাছে সমাজতন্ত্র চেয়ে লাভ কী?
একটা বিপ্লব রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।তেমনি গণঅভ্যুত্থান বিপ্লবের প্রতিনিধিত্ব করে।সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে সাফল্যমন্ডিত করে ও বিপ্লবের গৌরব বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।গণঅভ্যুত্থানকালীন সময়ে জনগণ কর্তৃক ঘটিত যে অপরাধপ্রবণতা তাকে ক্ষমা করে দিতে হয়।এটা সেই উত্তাল-উত্তেজনাপূর্ণ মুহুর্তেরও বৈধতা।এক অর্থে বলা যায়, এটা সেই সংকটকালীন সময়ের স্বাভাবিকতা।কিন্তু বিপ্লব সম্পন্ন বা সফল হবার কিছুদিন পরে সঠিক রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি হলে তা আর পূর্বের ন্যায় বলবৎ থাকবে না।জনতার বিচার তখন মবজাস্টিসে পরিণত হয়।কমিউনিস্ট পার্টির সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এই যে মবজাস্টিস তা হলো এক ধরণের মব টেরোরিস্ট কায়দা।একে এখন প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার সময় এসেছে।
১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক রচিত ' আমার সোনার বাংলা ' সংগীতটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় যা স্বদেশী আন্দোলনের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।এ গান প্রচারিত হতো বঙ্গভঙ্গবিরোধী রাজনীতিক, স্বদেশ কর্মী ও বিপ্লবীদের দ্বারা।এভাবে তারা বাঙালী জনগণকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেন।
এটা অনেকটা বাংলাদেশি বাউল গানের মতো। বঙ্গমাতার উপর ভিত্তি করে রচিত এই বাউল গানটি নিয়ে বিরোধীতা থাকা উচিত নয় কারণ বাউল গান বাংলার লোকজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি।বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ' আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ' গানটি পরিবেশন করে।পরবর্তীতে গানটি অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার চেতনার ধারক হয়ে উঠে।বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাতে ভূমিকা রেখেছে।