চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য - কমরেড মুশফিক বরাত
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালীর প্রাণের উৎসব।বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে যা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছে।বায়ান্ন সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যার আবেদন একটুও কমেনি।আজ বিশ্ববাসী আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছি।ভারত ও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সমান জনপ্রিয়।ঢাকা থেকে এই রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।জাতিসংঘসহ অসংখ্য সংগঠন এই দিবস পালন করে।ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাও মানুষের কাছে সমান গুরুত্ব পাক এই প্রত্যাশা রাখি।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের অভ্যন্তরে মহাজনী পুঁজি জমা হচ্ছে, একত্রিত হচ্ছে।তারা রাজনৈতিক কূটকৌশল জানিয়েছে যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কাজে লাগাবে।যুগে যুগে ফ্যাসিবাদ এভাবেই নির্বাচনকে কাজে লাগায়।অন্যদিকে নব্য ফ্যাসিবাদ এরকম টালমাটাল অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগ খুঁজছে পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতা হাতিয়ে নেবার।বামপন্থীদের এমন ঘৃণ্য মুহূর্তে আবারো একত্রিত থাকতে হবে।সজাগ থাকতে হবে যেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বিফলে না যায়।মহাজনী লুটেরাদের সাথে বিএনপির সখ্যতা দেখা যাচ্ছে।এক বুর্জোয়ার সাথে আরেক বুর্জোয়ার সখ্যতা বাড়তেই পারে।বিএনপি নব্য ফ্যাসিবাদ থেকে বেশ সজাগ রাজনৈতিক দল।অন্যদিকে বাকি পার্টিগুলো নব্য ফ্যাসিবাদকে এদেশে পাকাপাকি অবস্থান করে দেবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।দেখা যাক, কার জয় হয়?এসব লুটেরাদের নাকি বামপন্থী কমিউনিস্ট শক্তির।
গৃহযুদ্ধ হলো একটি দেশের অভ্যন্তরে সশস্ত্র সংঘাত, যেখানে একই রাষ্ট্রের বিভিন্ন পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এটি সাধারণত রাজনৈতিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক কারণে হয়ে থাকে।
গৃহযুদ্ধের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য:
একটি দেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়।বিভিন্ন পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে।রাজনৈতিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক কারণে হতে পারে।যুদ্ধরত পক্ষগুলো একই রাষ্ট্রের নাগরিক হয়।জাতীয় সংহতি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।উদাহরণস্বরূপ, চীনের গৃহযুদ্ধ, স্পেনের গৃহযুদ্ধ, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের মতো ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রপক্ষের সাথে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।দেশ কি এক সংঘাতময় গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?এটাকে মেনে নেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের সাথে রাষ্ট্রপক্ষের সংঘর্ষ এক প্রকারের গৃহযুদ্ধের সাময়িক ইঙ্গিত বহন করে।এই গৃহযুদ্ধ কিছুদিন পূর্বের আর মাত্র কিছুদিন চলবে।যেসব এলাকায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে সেসব এলাকা বর্জন করুন। দেশের এমন টালমাটাল অবস্থায় দেখা যাচ্ছে যে, একমাত্র বামপন্থীরাই দূরত্ব বজায় রাখছে। অন্যান্য বুর্জোয়া ও পেটি বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলসমূহ অযাচিত সংঘাত ডেকে আনছে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ পরিহার ও বর্জন করুন।দেশকে সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না।সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে আসুন সকলে এই সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ প্রতিহত করি।দেশের স্বার্থে মিথ্যে দম্ভ ও অহমিকা পরিত্যাগ করি।
- কমরেড মুশফিক বরাত, এনপিসি।