শারদীয় দুর্গোৎসব ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা - কমরেড মুশফিক বরাত
October 11, 2024 at 5:33 pm,
No comments
সারাদেশের প্রতিমা ভাঙার বিচার চাই।
সকলকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা।
রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা ও দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলের।এবার পার্বতীপুরে ১৪০টি মন্ডপে দুর্গোৎসব শুরু।
শ্রমিক হত্যার বিচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে এনে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, অতীত দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচার, বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সাজা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
প্রজন্ম চব্বিশের হাত ধরে বেড়ে উঠবে বর্তমান প্রজন্ম।জাতীয়তাবাদী চেতনায় আস্থাশীল ও ধারক-বাহক হয়ে উঠবে।বিদেশী শত্রুকে নিমেষেই পরাভূত করতে প্রস্তুত আমরা।অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের শক্তি ও বুর্জোয়াদের সুবিধাবাদীতার বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব।কমিউনিস্টরা আদ্যোপান্ত অসাম্প্রদায়িক অন্যদিকে বুর্জোয়া পার্টিগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পর তা ধারণ করে।অর্থাৎ অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতে বুর্জোয়া দলগুলো পুরোপুরি বামপন্থার উপর নির্ভরশীল ও দূর্বল।ভাববাদ নয় বুর্জোয়ারাই আমাদের প্রধান শত্রু।
দূর্গাপূজো এসেছে।ভাববাদ নির্দিষ্টকরণের পথ খুঁজছে।বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষণিক অসাম্প্রদায়িক বা কিছুক্ষণের অসাম্প্রদায়িক।অর্থাৎ কিছুদিন পরপর তারা অসাম্প্রদায়িকতার পথ বেছে নেয়।আর নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করে।এসব কোনো সোজাসাপ্টা বা স্পষ্ট বক্তব্য নয়।কমিউনিস্টরা নিজেদের অভিমত গোপন রাখতে ঘৃণাবোধ করে।তাই এ ধরণের ভাসা ভাসা মতামত নিয়ে জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ে।নির্দিষ্ট বক্তব্য সামনে আনতে সাহস পায় না বা লজ্জাবোধ করে।এভাবে এতগুলো জনতার উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়াটা সঠিক কাজ হবে না।এভাবে তাইতো একবাক্যে ভাববাদকে একদম উড়িয়ে দেওয়াটাও তো জরুরী কর্তব্য।
কমিউনিস্টদের উপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব আসা মানেই বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও জাতিসত্তার বৈষম্য দূর হবে।
চে গুয়েভারার আন্তর্জাতিকতাবাদ লক্ষ্যণীয়।পৃথিবীতে অসংখ্য রাষ্ট্র থাকবে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থাকবে, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির স্ফূরণ ঘটবে; এই হলো নিয়ম।এসব ছাড়াও আন্তর্জাতিকতাবাদের চর্চা অব্যাহত থাকবে।তাছাড়া এটা চর্চার ও বলার মতো যথেষ্ট যোগ্যতাও থাকতে হয় কমিউনিস্ট গোষ্ঠীর মতো।বলে দিয়ে গেলেই তো তা মেনে নেওয়া যায় না।আন্তর্জাতিকতাবাদকে হতে হবে বহুমুখী।তাই বলে ইংরেজির চর্চা করতে হবে তার কোনো অর্থ হয় না।তেমনি এই চর্চায় অনেক কমিউনিস্ট পার্টি থাকবে ও তাদের মধ্যে মিলনাত্মক দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।
সকল শত্রু ও দুষ্টু প্রজাতি নিপাত যাক।সাম্য ও মানবিকতার সমাজ গড়ে উঠুক।অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না।মনুষ্যত্বের সমাজ চাই।সকল দেশবাসীকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা।
বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবণতা হচ্ছে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও সংকীর্ণ অসাম্প্রদায়িকতা।নিজের দেশের স্বার্থকে তারা মুখ্য মনে করে।ফলে রাষ্ট্র সংকীর্ণতায় পতিত হয়, বিস্তৃতি লাভ করে না।এভাবে না দেখে রাষ্ট্র বিস্তৃতি লাভের একটা বৃহৎ প্রবণতাও বটে।নইলে রাষ্ট্রের প্রবণতা দাঁড়িয়ে যেতে পারে আন্তর্জাতিক।এভাবে রাষ্ট্রের ধারণা একদিন নাও থাকতে পারে।সেটাকে নিশ্চয়ই মেনে নেওয়া যায় না।সংকীর্ণতার ধারণাটা আসছে বৈশ্বিক সংগঠন গঠন করার অপারগতা থেকে।একমাত্র কমিউনিস্টদের দ্বারাই যা খুব সম্ভব।আমাদের আছে ফোর্থ ইন্টারন্যাশনাল।একের পর এক স্বাধীনতা যুদ্ধের ধারণা থেকে বলা যায়, রাষ্ট্রকে সংকীর্ণতায় বিবেচনা করা যাবে না; এটা বিবর্তনমুখী দীর্ঘাকায়, দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপক অগ্রগামীতা।