সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করুন - কমরেড মুশফিক বরাত
December 6, 2024 at 2:29 pm,
No comments
প্রথমত দায়িত্বটা হলো রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি ঠিক রাখা।জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।রাষ্ট্রকে রক্ষার দায়িত্বটা যেমন রাষ্ট্রের তেমনি জনগণের।সম্প্রতি সাম্প্রদায়িকতার সাথে সংখ্যালঘু বিতর্কের জন্ম হয়েছে।বিতর্ক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে সংখ্যালঘুদের নয় বরং দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার ভিতরে।এখানে বুর্জোয়া-বুর্জোয়া বিতর্ক উঠে আসবে যেমন আসবে বুর্জোয়া-শ্রমিক দ্বন্দ্ব।শ্রমিকরা কৃষকের সাথে মৈত্রীর ভিত্তিতে জয়লাভ করবে।সংখ্যালঘুদের প্রধান অংশ এখানে সমস্যা নয়।তারা ক্ষমতা লাভের ধারেকাছেও নেই।এমনকি অভ্যন্তরীণ কোনো দ্বন্দ্ব নেই।মুসলিম সম্প্রদায় ও হিন্দুদের অভ্যন্তরে কোনো বিভেদ বা জটিলতা নেই।সুতরাং দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই।এই যে সংখ্যালঘু বিতর্ক সেটা প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে না।তাই তীব্রতর হয়ে উঠবে না।
ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।উভয় দেশের জনগণের ঐক্য গড়ে তুলুন।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কর।ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া চলবে না।
অর্থগত সম্পর্ক পার্টির অভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে নষ্ট করে, খর্বিত করে।এতে কর্মীবল বাড়লেও বিস্তৃতি লাভের প্রক্রিয়ায় অধিক বিস্তার ঘটে।ফলে পেটি বুর্জোয়া ঝোঁক উপস্থিত হয়।এটা শুধু ধর্মীয় সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ হতে পারে; একটি বিপ্লবী পার্টির নয়।কখনো লুম্পেন প্রলেতারিয়েত এসে ভীড় জমায়।একথা স্পষ্ট জেনে রাখা উচিত যে, কমিউনিস্ট পার্টি কর্তৃক বিপ্লব সংঘটন একটি ব্যাপক-বিশাল অপরাধ নয় বরং সঠিক পন্থায় সংগঠিত উৎসব।
শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দেড় লাখ মামলা ঘাড়ে নিয়েছে।তাহলে বিপ্লবের জন্য সমাজতন্ত্রীদের কতগুলো ঝুঁকি নিতে হবে?আমরা তো সশস্ত্র বিপ্লবেও আস্থা রাখি।তাছাড়া বিএনপির জাতীয়তাবাদী চেতনা নড়বড়ে ও দূর্বল।এ ব্যাপারে শুধুমাত্র সমাজতন্ত্রীদের স্পষ্ট ধারণা বিদ্যমান।বাংলাদেশের বুর্জোয়া-বুর্জোয়া দ্বন্দ্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাস্যকর কিন্তু নিয়ন্ত্রিত নয়।অপরাপর দেশগুলোতে এরকম নিয়ন্ত্রিত সরকারের দেখা পাওয়া যায় না।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি চরম নাটকীয়তা ও চলচ্চিত্রের ন্যায়।তাই এমন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের উপর মোটেও আস্থা রাখা যায় না।
বাংলাদেশের সংবিধানে একটি আইন করা উচিত।এদেশে ছয় তলার উপর বেসরকারি বাসভবন নির্মাণ করা যাবে না।নির্মাণাধীন হলে অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ করতে হবে।
হিন্দুদের একটি অংশ ইদানীং বাংলাদেশে উগ্রবাদীতার পথ গ্রহণ করেছে।এটাকে মৌলবাদ বলা যায় না।তবে বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদ দারুণভাবে কাজ করে।জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল(এনপিসি) একটি অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার রাজনৈতিক দল।চট্টগ্রামে আইনজীবীকে হত্যা এই উগ্রবাদকে উসকে দিয়েছে।বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার ধারক ও বাহক হয়ে উঠুক।সেক্যুলারিজম এখানে গর্জে উঠুক।দেশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেবেন না।বাংলাদেশ তার স্বমহিমায় ও আত্মগৌরবে আবির্ভূত হোক আবারো।