Skip to main content
Mushfiq Borat Biography
  • Home
  • Writer News
  • Gallery
    • Gallery
  • About Us
  • Contact

India-Pakistan War

11 May, 2025, No comments
India and Pakistan are at war. I cannot stand for Pakistan from the perspective of freedom struggle. Apart from this, one can look at India's position. Still, the use of nuclear bombs by India and Pakistan in this war is not right. They must always remember this in wartime situations. A deterioration in relations between one country and another can lead to temporary war. But if the Communist World doesn't benefit from it, who loses? So from an overall perspective, PW is unable to support this war.
Even after becoming two separate independent states, this undesirable deterioration of the war situation is unacceptable for the time being.
The India-Pakistan war will not bring any results. It is just a conspiracy to establish Indian inter-imperialism. A cunning plan of Indian RAW agents. Those who want to establish inter-imperialism are international enemies. Therefore, war instead of war, i.e., a direct attack on India and Pakistan by national armies, is in no way acceptable. We communists cannot accept war for war. This war can be stopped through peaceful talks. Attacks on India or Pakistan will not be allowed in the name of peaceful talks.

India's contribution in space research and education cannot be denied. On the other hand, Pakistan has contributed to maintaining peace in the Muslim community. We cannot forget that in such a war situation.

It would not be right to get lost in such a war frenzy. World leaders should not be restless. Let the internal affairs of South Asia remain within us. Focus on space research, not war. Instead of wasting it like this, allocate it to intelligence memory. Just as an economist has value, so does an artist's brush.

We do not like interimperialism. I declared India an interimperialist country 18 years ago.
India's current political behavior proves that. Their ever-warring policy surprises us. It amazes us. It surprises us. We communists have declared USA as imperialist and India as Interimperialist country. Their space policy is consistent in this regard. It falls under the agricultural system. In a country where workers have no value. The government changes again and again in the same way. Where changing society is the religion of workers and communists. This is how we understand how terrible the world situation is!

We, the National Progressive Council (Marxist-Boratist), submitted this Presidential Report on the Indo-Pakistan war to the world communist movement.

- Comrade Mushfiq Borat, PW.1000089283.jpg

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য - কমরেড মুশফিক বরাত

21 Feb, 2025, No comments
সমাজ এক জায়গায় বসে থাকে না, ক্রমেই এগিয়ে যায়, উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে। ২৫ মার্চের কালো রাতের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ এসেছিল।পরবর্তীতে স্বৈরাচার এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় স্তর প্রত্যক্ষ করা যায়।এরপর আসে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান।এখানে দেখা যাচ্ছে, সমাজ বিকশিত হচ্ছে, আরো উন্নততর অবস্থানে পৌঁছে যাচ্ছে।তাই বলা যায়, বর্তমান সময়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে অধিক তাৎপর্য বহন করে এই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান।স্পষ্ট করে বললে, অধিক গুরুত্ব বহন করে।এভাবে দেখলে বিপুল পরিমাণ জনতার মাঝেও কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবকাশ থাকে না।নইলে সমাজের ভুল বিশ্লেষণের দুর্ভাবনা ও দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।সমাজের সঠিক ব্যাখ্যা উপস্থিত হলে জনগণও বিভ্রান্তিতে পড়ে না।
রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র সংবিধানে পুনর্বহাল রাখতে হবে।সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা কর।

শ্রেণী বৈষম্যমুক্ত সমাজ, আইনের শাসন, রাষ্ট্রীয় সম্পদের সমতা, ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা থাকবে না।দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান ও শ্রমিক শোষণ থেকে আশু মুক্তি প্রয়োজন।ছাত্র-যুব ও তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক মেধা ও প্রতিভার বিকাশে মানোন্নয়ন ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাতে হবে।জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হবে।তাছাড়া মেয়েদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি জরুরী।আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।বিশ্বায়ন, বর্ণবাদ ও ধর্মীয় গোঁড়ামি-প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির স্বপক্ষে আন্দোলন ও সংহতি জোরদার করতে হবে।

একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালীর প্রাণের উৎসব।বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে যা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছে।বায়ান্ন সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যার আবেদন একটুও কমেনি।আজ বিশ্ববাসী আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছি।ভারত ও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সমান জনপ্রিয়।ঢাকা থেকে এই রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।জাতিসংঘসহ অসংখ্য সংগঠন এই দিবস পালন করে।ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাও মানুষের কাছে সমান গুরুত্ব পাক এই প্রত্যাশা রাখি।

কর্তৃত্ববাদী সরকারের অভ্যন্তরে মহাজনী পুঁজি জমা হচ্ছে, একত্রিত হচ্ছে।তারা রাজনৈতিক কূটকৌশল জানিয়েছে যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কাজে লাগাবে।যুগে যুগে ফ্যাসিবাদ এভাবেই নির্বাচনকে কাজে লাগায়।অন্যদিকে নব্য ফ্যাসিবাদ এরকম টালমাটাল অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগ খুঁজছে পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতা হাতিয়ে নেবার।বামপন্থীদের এমন ঘৃণ্য মুহূর্তে আবারো একত্রিত থাকতে হবে।সজাগ থাকতে হবে যেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বিফলে না যায়।মহাজনী লুটেরাদের সাথে বিএনপির সখ্যতা দেখা যাচ্ছে।এক বুর্জোয়ার সাথে আরেক বুর্জোয়ার সখ্যতা বাড়তেই পারে।বিএনপি নব্য ফ্যাসিবাদ থেকে বেশ সজাগ রাজনৈতিক দল।অন্যদিকে বাকি পার্টিগুলো নব্য ফ্যাসিবাদকে এদেশে পাকাপাকি অবস্থান করে দেবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।দেখা যাক, কার জয় হয়?এসব লুটেরাদের নাকি বামপন্থী কমিউনিস্ট শক্তির।

মহাজনী লুটেরা বনাম নব্য ফ্যাসিবাদ - কমরেড মুশফিক বরাত

7 Feb, 2025, No comments
বাংলাদেশে শাসকগোষ্ঠীর পালাবদল ইদানীং পরিলক্ষিত হচ্ছে।একদিকে মহাজনী লুটেরা ও অন্যদিকে নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।দ্বান্দ্বিক বিবর্তনের দ্বিমুখী দ্বন্দ্বে পরিশেষে শ্রমিক শ্রেণীর জয় হয়।এখানে বুর্জোয়া-বুর্জোয়া দ্বন্দ্বে মহাজনী লুটেরা ও নব্য ফ্যাসিবাদকে দেখা যাচ্ছে।আর বুর্জোয়া ব্যবস্থায় বিএনপির একটা পাকাপোক্ত অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এইসব লুটেরাদের উত্থান কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।বস্তু চক্রাকারে ঘুরছে এই ধারণা থেকে আসে- ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়।কিন্তু এগুলোর কোনোটাই সত্যি নয়।বস্তুর শুধু পরিমাণগত পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে গুণগত পরিবর্তন আসে।গুণগত পরিবর্তন হলো বিপ্লব।যার জন্য আমরা জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল(এনপিসি)-কে বেছে নিতে পারি।শ্রমিক শ্রেণীর যাবতীয় স্বার্থরক্ষাই হবে আমাদের মূল দায়িত্ব।

ত্রিশের দশকের মধ্যভাগে ফ্যাসিস্ট হিটলার-মুসোলিনী-ফ্রাঙ্কোর যুদ্ধোন্মত্ততার প্রেক্ষিতে প্যারিস, মাদ্রিদ ও ব্রাসেলস-এ বিশ্বশান্তি ও সভ্যতা রক্ষায় বেশ কয়েকটি বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৩৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলেও পৃথিবীর দেশে দেশে শান্তির সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। জার্মান পদানত ফরাসি দেশে শত নিপীড়ন-নির্যাতন এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বশান্তি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক জুলিও ক্যুরি (১৯০০-১৯৫৮) যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘বিশ্বশান্তি পরিষদ’ গঠন করেছেন, যা বিশ্ব শান্তি আন্দোলনের ইতিহাসের চিরদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালের ১৯ মার্চ প্যারিসে এবং মারা যান ১৯৫৮ সালের ১৪ আগস্ট।

মহাজনী লুটেরা হচ্ছে ব্যাংক পুঁজি ও ব্যবসা পুঁজির সম্মিলন।বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে মহাজনী লুটেরাদের সহযোগিতা দিচ্ছে ও ব্যাংক পুঁজিকে সামনে আনছে; আরো বিশাল করে তুলছে।কর্তৃত্ববাদী সরকারের অভ্যন্তরে কিছু বুর্জোয়া-পেটি বুর্জোয়া পার্টি কর্তৃক মহাজনী লুটেরা প্রাধান্য পাচ্ছে।অন্যদিকে পাশাপাশি বেড়ে উঠছে নব্য ফ্যাসিবাদ।আগেরকালের মহাজনদের জন্য ঋণের মুনাফাই ছিল মুখ্য, তার জালে পড়ে সর্বস্বান্ত হতো গরিব কৃষকেরা।বর্তমান বৈশ্বিক মহাজনদের কাছে ঋণের মুনাফা গৌণ।প্রধান হলো ঋণ জালে কনসালট্যান্ট, দেশীয় সুবিধাভোগী আর শর্তাবলীর বড় খোপে ফেলে দেশের গতিমুখ নির্ধারণ করা; দেশের লুটেরা আর বহুজাতিক পুঁজির জন্য দেশ উন্মুক্ত করা।

মহাজনী লুটেরা বনাম নব্য ফ্যাসিবাদ- এই হলো বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ।এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হচ্ছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে সামনে নিয়ে আসা।অতি দ্রুত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ঘোষণা দেওয়া ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রস্তুত রাখা।মবজাস্টিস ও মবটেরোরিস্ট থেকে দূরে থাকা।বাংলাদেশকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করা।দেশকে স্থিতিশীল রাখতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও প্রগতি ছাত্র ফ্রন্টকে প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে।নব্য ফ্যাসিস্ট থেকে সর্বদা সজাগ থাকা ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাটাও জরুরী।জাতিকে এমন সংকটজনক মুহূর্তে একাকী ফেলে রাখা যায় না।বাংলাদেশকে তার অতীত গৌরব নিয়ে অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ও এনপিসির জন্মলাভ - কমরেড মুশফিক বরাত

28 Dec, 2024, No comments
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে এনপিসির সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।বেশ কিছু বুর্জোয়া ও পেটি বুর্জোয়া পার্টি এতে সমর্থন জানিয়েছিল।তাছাড়া কমিউনিস্টদের অকুণ্ঠ সমর্থন ভুলবার নয়।এমন পরিস্থিতিতে দেশে অরাজকতা বিরাজ করছিল।তারপরও প্রজন্ম ২৪ প্রগতি ছাত্র ফ্রন্টকে নিয়ে অকুতোভয় এগিয়েছে।জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল(এনপিসি) জুলাই বিপ্লবে ত্রিশ দিনে ত্রিশটি কর্মসূচি দিয়েছিল এবং আগস্টের পহেলা তারিখ থেকে পাঁচ তারিখ পর্যন্ত লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত ছিল।জাতির এমন ক্রান্তিলগ্নে আমরা চিরজাগ্রত ছিলাম।তাই প্রগতি ছাত্র ফ্রন্টের এই অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।বাংলাদেশ এনপিসিকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এবং জাতির উন্নয়নে সার্বিক ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা রইল।

গাড়িয়াল ভাই থেকে অত্যাধুনিক সুপার শপ- এই হলো ভাববাদী ধারণা, তাদের প্রচলিত মত।কিন্তু মাঝখানের যে প্রগতিশীল অভিমত তাকে অস্বীকার করা হচ্ছে।জনগণের যে রক্তস্নাত ইতিহাস তাকে হালকাভাবে দেখা হচ্ছে।সম্মিলিত জনতার মিলিত সংগ্রামকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।একটি বিপ্লবী পার্টি ও জনতার মিলিত স্রোতকে আমলে আনা হচ্ছে না।বুর্জোয়া ঝোঁক প্রাধান্য পাচ্ছে।এভাবে শ্রমিক শ্রেণীর বিপুল ক্ষমতাকে এক মুহুর্তের জন্য হালকাভাবে নেওয়া যায়।ঐতিহাসিক ঘটনাবলীকে এভাবে বলি হতে দেওয়া যায় না।ইতিহাসকে পাতিহাঁস বলে উড়িয়ে দেওয়াটা একদম মেনে নেওয়া যায় না।স্পষ্ট করে বললে, নেতৃত্বকে অস্বীকার করা হচ্ছে।যেন নেতৃত্ব পূর্বনির্ধারিত ও চিরনির্ধারিত।

সীমাহীন দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতি, অবৈধ কমিশন, সরকারি সম্পত্তি দখল ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার, টেন্ডার ও ঋণ জালিয়াতি, পুঁজিবাজার লুণ্ঠন, ভূমি গ্রাস, অর্থ পাচার, অভিজাত শ্রেণির পৃষ্ঠপোষকতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, অযোগ্য লোকদের নিয়োগ, প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং সরকারি কেনাকাটায় জোচ্চুরি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিই হলো মাফিয়াতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

মনে রাখা ভালো, আমাদের দেশের মানুষের আয় গত এক বছরে কোনোক্রমেই ৫০ থেকে ৭৫ ভাগ বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু ভোগ্যপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ক্ষেত্রবিশেষে ৬০ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত। এক বছরের ব্যবধানে এতটা মূল্যবৃদ্ধি কোনো স্বাভাবিক কারণে হতে পারে না—এ কথা সবাই নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করবেন।

মাফিয়ারা আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের প্রভাব বিস্তার করে। মুক্তবাজার অর্থনীতি তাদের হাতের নাগালে।বিশ্বের প্রতিটি দেশেই তারা প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার করছে।কাগজের মুদ্রা ছাড়াও ডিজিটাল মুদ্রায়ও তারা আস্থাশীল।সেকারণে সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি।

২০০৮ সালে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ জন্মলাভ করে।পাশাপাশি ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এনপিসি-ও জন্মলাভ করে।শুরু হয় ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের একক প্রচেষ্টা।জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলের ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে তারই ধারাবাহিক প্রতিফলন ঘটেছে।পার্টির বহু নেতাকর্মীর ত্যাগ-তিতিক্ষায় অবশেষে এ আন্দোলন জাতীয়তাবাদী রূপ লাভ করে ও সফল হয়।বহু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছে আমাদের প্রিয় এই বাংলাদেশ।তাছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আমাদের অবস্থানের কথা সকলের জানা।আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের শত্রু ও প্রতিহিংসাকে এনপিসি যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে।দেশকে এক কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সেনা বিদ্রোহের আলামত ও বাংলাদেশ - কমরেড মুশফিক বরাত

24 Dec, 2024, No comments
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পেরিয়ে গেল।আসছে সেনা বিদ্রোহের আলামত।প্রত্যেকটি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেনা বিদ্রোহ ঘটে।এটাকে মেনে নিতেই হয়।এটা রাষ্ট্রীয় স্বাভাবিক আচরণের পর্যায়ে পড়ে।খবর আসছে, বাংলাদেশ আর্মি, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।প্রকৃত গণঅভ্যুত্থানে এই সেনা বিশৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা উপস্থিত হয়।সচরাচর ধারার রাজনৈতিক দলের বাইরে দাঁড়িয়ে এটা একটি প্রতিবাদের ধরণ।এটা কবে ঘটবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে তা সঠিক করে বলা যাবে না।যার তারিখ ভবিষ্যৎবাণী করা যাবে না।তবে সেনা বিদ্রোহ যে ঘটবেই তার আলামত আসছে চারিদিক থেকে।
কখনো সেনা অভ্যুত্থান সফল হয়, কখনো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে।তার কোনোটা সফল কোনোটা বিফল।রাশিয়ায় বুর্জোয়া বিপ্লব থেকে অক্টোবর বিপ্লব পর্যন্ত অসংখ্যবার সেনা বিদ্রোহ ঘটেছিল।কমরেড লেনিন যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।শ্রমিক শ্রেণীর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যেটা মূল ঘটনা প্রবাহ নয়; একটি পারিপার্শ্বিক প্রতিক্রিয়া।বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও ঘটনা দিগন্ত।সর্বোচ্চ বিকশিত পুঁজিবাদী যুগে শ্রমিক শ্রেণীর যাবতীয় স্বার্থরক্ষাই যুক্তিযুক্ত কাজ।সেনাবাহিনী এখানে শুধু সহায়ক ভূমিকায়।যেহেতু কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন এখানে জরুরী।

ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশের অর্জিত এই স্বাধীনতা।বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।মহান মুক্তিযুদ্ধের পর কিছুদিন পর্যন্ত দেশে চলে সঠিক সংস্কার।তারপর শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে আর স্থিতিশীল রাখতে পারেন নি। ৬৬-র ছয় দফায় তাদের ভূমিকাটুকু শুধু মেনে নেওয়া যায়।মাওলানা ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও কমিউনিস্টদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহাবস্থান চিরস্মরণীয়।এর পরবর্তীতে নব্বুইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের দল-মত-নির্বিশেষে একত্রিত করেছে।শেখ মুজিবের একদলীয় বাকশালী শাসন-শোষণ ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রূপ বিশ্বের কাছে আমাদের মাথানত করেছে।প্রজন্ম ২৪ এবং শ্রমিক ও ছাত্রজনতা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ চক্রান্তকে যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে।

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটেছিল।প্রত্যেক স্বাধীন স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশেই সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী থাকে।তাছাড়া একধরণের বর্ডারগার্ডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।বিশেষ এই তিন বাহিনী ছাড়াও বর্ডারগার্ড মাঝে মাঝে উত্তেজিত হয়, দেশাভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা ঘটায়।জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-জনতা বিপ্লবের স্মরণে পালিত স্মারক এবং ভূতপূর্ব সরকারি ছুটির দিন। কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান জেনারেল খালেদ মোশাররফের ৩ দিনেব্যাপি সামরিক অভ্যুত্থানের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থেকে মুক্তি পান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ছিলেন।বায়ান্ন‌ থেকে একাত্তর তাদের সমালোচনা করা যায় না কিন্তু পরবর্তীতে তারা দারুণভাবে সমালোচিত‌। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে এনপিসি লড়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিপক্ষে।জুলাই বিপ্লবের ত্রিশ দিনে জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল(এনপিসি) লাগাতার ত্রিশটি কর্মসূচি দিয়েছিল।আগস্ট অভ্যুত্থানেও আমাদের অবস্থান ছিল অনড় ও পূর্বের ন্যায় বলবৎ।পুরো সময়টাতে আমরা লড়েছি ফ্যাসিস্ট শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে।এ কারণে এনপিসির নেতাকর্মীদের অনেক হামলা-মামলা সহ্য করতে হয়েছে।ছাত্রজনতা ও শ্রমিকের পরে সেনাবাহিনীও ক্ষেপে উঠতে পারে।এটাকে মেনে নেওয়াটা সচেতনভাবে কখনো জরুরী।রাষ্ট্র যদি শ্রমিক ও কৃষকের সরাসরি স্বার্থ রক্ষা না করে তবে আপামর জনসাধারণ দায়িত্ব নেবে না কেন?

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করুন - কমরেড মুশফিক বরাত

6 Dec, 2024, No comments
প্রথমত দায়িত্বটা হলো রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি ঠিক রাখা।জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।রাষ্ট্রকে রক্ষার দায়িত্বটা যেমন রাষ্ট্রের তেমনি জনগণের।সম্প্রতি সাম্প্রদায়িকতার সাথে সংখ্যালঘু বিতর্কের জন্ম হয়েছে।বিতর্ক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে সংখ্যালঘুদের নয় বরং দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার ভিতরে।এখানে বুর্জোয়া-বুর্জোয়া বিতর্ক উঠে আসবে যেমন আসবে বুর্জোয়া-শ্রমিক দ্বন্দ্ব।শ্রমিকরা কৃষকের সাথে মৈত্রীর ভিত্তিতে জয়লাভ করবে।সংখ্যালঘুদের প্রধান অংশ এখানে সমস্যা নয়।তারা ক্ষমতা লাভের ধারেকাছেও নেই।এমনকি অভ্যন্তরীণ কোনো দ্বন্দ্ব নেই।মুসলিম সম্প্রদায় ও হিন্দুদের অভ্যন্তরে কোনো বিভেদ বা জটিলতা নেই।সুতরাং দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই।এই যে সংখ্যালঘু বিতর্ক সেটা প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে না।তাই তীব্রতর হয়ে উঠবে না।

ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।উভয় দেশের জনগণের ঐক্য গড়ে তুলুন।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কর।ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া চলবে না।
অর্থগত সম্পর্ক পার্টির অভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে নষ্ট করে, খর্বিত করে।এতে কর্মীবল বাড়লেও বিস্তৃতি লাভের প্রক্রিয়ায় অধিক বিস্তার ঘটে।ফলে পেটি বুর্জোয়া ঝোঁক উপস্থিত হয়।এটা শুধু ধর্মীয় সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ হতে পারে; একটি বিপ্লবী পার্টির নয়।কখনো লুম্পেন প্রলেতারিয়েত এসে ভীড় জমায়।একথা স্পষ্ট জেনে রাখা উচিত যে, কমিউনিস্ট পার্টি কর্তৃক বিপ্লব সংঘটন একটি ব্যাপক-বিশাল অপরাধ নয় বরং সঠিক পন্থায় সংগঠিত উৎসব।

শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দেড় লাখ মামলা ঘাড়ে নিয়েছে।তাহলে বিপ্লবের জন্য সমাজতন্ত্রীদের কতগুলো ঝুঁকি নিতে হবে?আমরা তো সশস্ত্র বিপ্লবেও আস্থা রাখি।তাছাড়া বিএনপির জাতীয়তাবাদী চেতনা নড়বড়ে ও দূর্বল।এ ব্যাপারে শুধুমাত্র সমাজতন্ত্রীদের স্পষ্ট ধারণা বিদ্যমান।বাংলাদেশের বুর্জোয়া-বুর্জোয়া দ্বন্দ্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাস্যকর কিন্তু নিয়ন্ত্রিত নয়।অপরাপর দেশগুলোতে এরকম নিয়ন্ত্রিত সরকারের দেখা পাওয়া যায় না।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি চরম নাটকীয়তা ও চলচ্চিত্রের ন্যায়।তাই এমন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের উপর মোটেও আস্থা রাখা যায় না।

বাংলাদেশের সংবিধানে একটি আইন করা উচিত।এদেশে ছয় তলার উপর বেসরকারি বাসভবন নির্মাণ করা যাবে না।নির্মাণাধীন হলে অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ করতে হবে।

হিন্দুদের একটি অংশ ইদানীং বাংলাদেশে উগ্রবাদীতার পথ গ্রহণ করেছে।এটাকে মৌলবাদ বলা যায় না।তবে বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদ দারুণভাবে কাজ করে।জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল(এনপিসি) একটি অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার রাজনৈতিক দল।চট্টগ্রামে আইনজীবীকে হত্যা এই উগ্রবাদকে উসকে দিয়েছে।বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার ধারক ও বাহক হয়ে উঠুক।সেক্যুলারিজম এখানে গর্জে উঠুক।দেশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেবেন না।বাংলাদেশ তার স্বমহিমায় ও আত্মগৌরবে আবির্ভূত হোক আবারো।

কর্তৃত্ববাদী সরকারের অরাজকতা - মুশফিক বরাত

3 Nov, 2024, No comments
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং অনির্বাচিত বা অবিপ্লবী সরকার এগুলো হলো কর্তৃত্ববাদী সরকার।কর্তৃত্ববাদী সরকার জনগণের রায় মানবে না।তারা জনগণের বিপক্ষে কথা বলে।নির্বাচনের ধোঁয়াশা তুলে একদম উড়িয়ে দেয় রাষ্ট্রকে।একটা পার্টির রাজনৈতিক সক্ষমতার উপর আস্থা রাখে না।পোস্টমর্ডানিজমকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।বিপ্লবী সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা স্থাপন করতে চায় না।তাইতো এটা এক ধরণের রাজনৈতিক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।জনগণের রায় ছাড়া এই মধ্যবর্তীকালীন ব্যবস্থা তা শুধু কিছুদিন বা স্বল্প সময়ব্যাপী চলতে পারে।অনেকদিন ধরে চলতে দেওয়াটা এক ধরণের বুর্জোয়া দূর্বলতাও বলা যায়।তাই একটি বিপ্লবী পার্টির গুরুত্ব স্বীকার করে নিতেই হয়।

বেশিদিন অতিবাহিত হলে কর্তৃত্ববাদী সরকার বুর্জোয়া চরমপন্থা অবলম্বন করে।শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের উপর চড়াও হয়।সদা উত্তেজিত সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয় ও নিজেদের প্রতিক্রিয়াশীল অভিমত চাপিয়ে দেয়।এমতাবস্থায় বুর্জোয়া ও পেটি বুর্জোয়াসর্বস্ব নামধারী রাজনৈতিক দলগুলো সুবিধাবাদী অবস্থান নেয়।তারা জোটবদ্ধ হয় ও ভুয়ো নির্বাচনের ধোঁয়া তোলে।যেন নির্বাচনই একমাত্র কর্মপন্থা ও কর্মপদ্ধতি।অথচ যেখানে টাকার খেলা ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই।এভাবে বলে রাখা ভালো, তারা কর্তৃত্ববাদী সরকারসহ বিপ্লব স্বীকার করে না।যেন রাষ্ট্রটা একটা খেলাধুলোর মাঠ; শ্রমজীবী জনতার মূল্য নেই।আমরা কমিউনিস্টরাও এভাবে বলে রাখতে চাই যে, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে যেকোনো দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

কর্তৃত্ববাদী সরকার আমাদের বারবার ভুগিয়েছে।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে।আমরা প্রজন্ম ২৪ ভুলিনি।ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে চব্বিশের অভ্যুত্থান সফল করেছি।দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ধর্মকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। মুসলমান ও হিন্দুদের পৃথক গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।যেটা কোনোভাবেই সেক্যুলারিজমের পর্যায়ে পড়ে না।এটা একটি জাতিকে বিভক্তিতে ঠেলে দিয়েছে।অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ব্যাহত করেছে।আমরা প্রজন্ম চব্বিশ যাতে আস্থাশীল নই।এর বাইরে দাঁড়িয়ে সঠিক গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে আমরা বেড়ে উঠব।পুরো জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

পূর্বেকার কর্তৃত্ববাদী সরকারের মতো এ সরকারের অভিমত স্পষ্ট।তাদের ভাসা ভাসা অভিমত জনগণ আর পছন্দ করে না।সাম্য, মানবিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার তারা মানে না।শ্রেণী বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থায় আপাতত আস্থাশীল নয়।তাছাড়া সুবিচার আমরা পাচ্ছি না।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েই চলছে।দেশকে অস্থিতিশীল করছে প্রতিদিন।সেনাবাহিনীর মদতপুষ্ট এ সরকার বুর্জোয়া সংস্কৃতির আরেক প্রতিচ্ছবি।তাছাড়া মহাকাশ গবেষণায় বরাদ্দ এখনো নেই যা একটি স্বাভাবিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য নয়।সেকারণে আজীবন গরীবী তাদের দ্বায়ভার।এ ধরণের অস্বাভাবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চয়ই প্রতিক্রিয়াশীল।প্রাণযুদ্ধ সমাজকে সামনে নিয়ে না আসলে এ গরীবী কাটবে না বা সমাজ এগুবে না।এমতাবস্থায় বেনজিন রিং সোসাইটিকে অগ্রগামী সংগঠনের মর্যাদা দেওয়াটা অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য‌।

প্রজন্মযোদ্ধা ও আমরা - কমরেড মুশফিক বরাত

25 Oct, 2024, No comments
প্রজন্ম চব্বিশ এখন আমাদের গর্বের জায়গা, ভালোবাসার সমীকরণ।এ সময়টায় প্রজন্মযোদ্ধারা লড়েছে, জীবন বাজি রেখেছে।বাংলাদেশকে সঠিক গণতান্ত্রিক পথ দেখিয়েছে।ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান থেকে প্রজন্ম ২৪ আমাদের বিপ্লবী উত্তরণ।বর্তমান সময়টাতে এটাই আমাদের গণজাগরণ।প্রজন্মযোদ্ধারা ফ্যাসিস্ট মোকাবেলা করেছে ও সাবেক স্বৈরাচারী সরকার সম্বন্ধে বারবার সচেতন করেছে।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমরা দেখিনি; দেখেছি শুধু প্রজন্মযোদ্ধাদের।আশা করা যায়, একদিন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখব।

প্রজন্মযোদ্ধাদের হতে হবে সাহসী।শত্রুর দূর্গ নিমেষেই ভেদ করার সক্ষমতা রাখবে তারা।এগিয়ে যাবে সম্মুখ পানে মাথা উঁচু করে।সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলার আকাশ, নৌপথ ও স্থলভাগ সবসময় দখলে রাখবে।ঊনসত্তুরের পরাজিত শক্তির আর বাংলার মাটিতে ঠাঁই হবে না।বাংলার আকাশ আমরা রাখিব মুক্ত।দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সাম্রাজ্যবাদকে পরাভূত করবে।জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখন এই প্রজন্মের হাতে।প্রজন্ম ২৪ আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছে।ঢাকাসহ সারাদেশে এনপিসি নেতৃত্ব দিচ্ছে ও আবারো ছাত্রজনতাকে একত্রিত করছে।এই সংঘবদ্ধ শক্তিটি যেকোনো মুহূর্তে দেশের অভ্যন্তরীণ শত্রুকে দাবিয়ে দেবে।সেই আশাবাদ তো নিশ্চয়ই রাখা যায়।

উন্নত ধনী দেশগুলোতে বর্তমানে জমকালো পোশাকধারী ম্যাজিশিয়ান ভিক্ষুকের জন্ম হয়েছে।আর তৃতীয় বিশ্ব জন্ম দিয়েছে নাঙ্গা ভিক্ষুকের।এক ভিক্ষুক যেখানে আরেক ভিক্ষুকের প্রতিপক্ষ।বিষয়টা বেশ মজাদার।এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, একজন ভিক্ষুকের কাছে সমাজতন্ত্রের কী মূল্য থাকতে পারে!ভিক্ষুকের কাছে সমাজতন্ত্র চেয়ে লাভ কী?

একটা বিপ্লব রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।তেমনি‌ গণঅভ্যুত্থান বিপ্লবের প্রতিনিধিত্ব করে।সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে সাফল্যমন্ডিত করে ও বিপ্লবের গৌরব বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।গণঅভ্যুত্থানকালীন সময়ে জনগণ কর্তৃক ঘটিত যে অপরাধপ্রবণতা তাকে ক্ষমা করে দিতে হয়।এটা সেই উত্তাল-উত্তেজনাপূর্ণ মুহুর্তেরও বৈধতা।এক অর্থে বলা যায়, এটা সেই সংকটকালীন সময়ের স্বাভাবিকতা।কিন্তু বিপ্লব সম্পন্ন বা সফল হবার কিছুদিন পরে সঠিক রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি হলে তা আর পূর্বের ন্যায় বলবৎ থাকবে না।জনতার বিচার তখন মবজাস্টিসে পরিণত হয়।কমিউনিস্ট পার্টির সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এই যে মবজাস্টিস তা হলো এক ধরণের মব টেরোরিস্ট কায়দা।একে এখন প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার সময় এসেছে।

১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক রচিত ' আমার সোনার বাংলা ' সংগীতটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় যা স্বদেশী আন্দোলনের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।এ গান প্রচারিত হতো বঙ্গভঙ্গবিরোধী রাজনীতিক, স্বদেশ কর্মী ও বিপ্লবীদের দ্বারা।এভাবে তারা বাঙালী জনগণকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেন।

এটা অনেকটা বাংলাদেশি বাউল গানের মতো। বঙ্গমাতার উপর ভিত্তি করে রচিত এই বাউল গানটি নিয়ে বিরোধীতা থাকা উচিত নয় কারণ বাউল গান বাংলার লোকজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি।বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ' আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ' গানটি পরিবেশন করে।পরবর্তীতে গানটি অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার চেতনার ধারক হয়ে উঠে।বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাতে ভূমিকা রেখেছে।

শারদীয় দুর্গোৎসব ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা - কমরেড মুশফিক বরাত

11 Oct, 2024, No comments
সারাদেশের প্রতিমা ভাঙার বিচার চাই।
সকলকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা।

রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা  ও দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলের।এবার পার্বতীপুরে ১৪০টি মন্ডপে দুর্গোৎসব শুরু।

শ্রমিক হত্যার বিচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে এনে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, অতীত দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচার, বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সাজা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

প্রজন্ম চব্বিশের হাত ধরে বেড়ে উঠবে বর্তমান প্রজন্ম।জাতীয়তাবাদী চেতনায় আস্থাশীল ও‌ ধারক-বাহক হয়ে উঠবে।বিদেশী শত্রুকে নিমেষেই পরাভূত করতে প্রস্তুত আমরা।অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের শক্তি ও বুর্জোয়াদের সুবিধাবাদীতার বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব।কমিউনিস্টরা আদ্যোপান্ত অসাম্প্রদায়িক অন্যদিকে বুর্জোয়া পার্টিগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পর তা ধারণ করে।অর্থাৎ অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতে বুর্জোয়া দলগুলো পুরোপুরি বামপন্থার উপর নির্ভরশীল ও দূর্বল।ভাববাদ নয় বুর্জোয়ারাই আমাদের প্রধান শত্রু।

দূর্গাপূজো এসেছে।ভাববাদ নির্দিষ্টকরণের পথ খুঁজছে।বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষণিক অসাম্প্রদায়িক বা কিছুক্ষণের অসাম্প্রদায়িক।অর্থাৎ কিছুদিন পরপর তারা অসাম্প্রদায়িকতার পথ বেছে নেয়।আর নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করে।এসব কোনো সোজাসাপ্টা বা স্পষ্ট বক্তব্য নয়।কমিউনিস্টরা নিজেদের অভিমত গোপন রাখতে ঘৃণাবোধ করে।তাই এ ধরণের ভাসা ভাসা মতামত নিয়ে‌ জনগণ‌ বিভ্রান্তিতে পড়ে।নির্দিষ্ট বক্তব্য সামনে আনতে সাহস পায় না বা লজ্জাবোধ করে।এভাবে এতগুলো জনতার উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়াটা সঠিক কাজ হবে না।এভাবে তাইতো একবাক্যে ভাববাদকে একদম উড়িয়ে দেওয়াটাও তো জরুরী কর্তব্য।

কমিউনিস্টদের উপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব আসা মানেই বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও জাতিসত্তার বৈষম্য দূর হবে।

চে গুয়েভারার আন্তর্জাতিকতাবাদ লক্ষ্যণীয়।পৃথিবীতে অসংখ্য রাষ্ট্র থাকবে, ভিন্ন‌ ভিন্ন ভাষা থাকবে, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির স্ফূরণ ঘটবে; এই হলো নিয়ম।এসব ছাড়াও আন্তর্জাতিকতাবাদের চর্চা অব্যাহত থাকবে।তাছাড়া এটা চর্চার ও বলার মতো যথেষ্ট যোগ্যতাও থাকতে হয় কমিউনিস্ট গোষ্ঠীর মতো।বলে দিয়ে গেলেই তো তা মেনে নেওয়া যায় না।আন্তর্জাতিকতাবাদকে হতে হবে বহুমুখী।তাই বলে ইংরেজির চর্চা করতে হবে তার কোনো অর্থ হয় না।তেমনি এই চর্চায় অনেক কমিউনিস্ট পার্টি থাকবে ও তাদের মধ্যে মিলনাত্মক দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।

সকল শত্রু ও দুষ্টু প্রজাতি নিপাত যাক।সাম্য ও মানবিকতার সমাজ গড়ে উঠুক।অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না।মনুষ্যত্বের সমাজ চাই।সকল দেশবাসীকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা।

বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবণতা হচ্ছে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও সংকীর্ণ অসাম্প্রদায়িকতা।নিজের দেশের স্বার্থকে‌ তারা মুখ্য মনে করে।ফলে রাষ্ট্র সংকীর্ণতায় পতিত হয়, বিস্তৃতি লাভ করে না।এভাবে না দেখে রাষ্ট্র বিস্তৃতি লাভের একটা বৃহৎ প্রবণতাও বটে।নইলে রাষ্ট্রের প্রবণতা দাঁড়িয়ে যেতে পারে আন্তর্জাতিক।এভাবে রাষ্ট্রের ধারণা একদিন নাও থাকতে পারে।সেটাকে নিশ্চয়ই মেনে নেওয়া যায় না।সংকীর্ণতার ধারণাটা আসছে বৈশ্বিক সংগঠন গঠন করার অপারগতা থেকে।একমাত্র কমিউনিস্টদের দ্বারাই যা খুব সম্ভব।আমাদের আছে ফোর্থ ইন্টারন্যাশনাল।একের পর এক স্বাধীনতা যুদ্ধের ধারণা থেকে বলা যায়, রাষ্ট্রকে সংকীর্ণতায় বিবেচনা করা যাবে না; এটা বিবর্তনমুখী দীর্ঘাকায়, দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপক অগ্রগামীতা।

প্রজন্ম ২৪ - কমরেড মুশফিক বরাত

5 Oct, 2024, No comments
জনগণ পরিবর্তন চায়, তারা আর ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না।স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর আমরা একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত ও লুটপাটের সরকার দেখেছি।তারা ক্ষমতার পালাবদলে বিশ্বাস করতো না।ফলে একনায়কতন্ত্রের রূপ বারবার দেখেছি।সঠিক গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় জনগণ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে একপ্রকার অন্যায়রকম হেনস্থা করে ছেড়েছে।অবশেষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভরাডুবি আমরা ঘটাতে পেরেছি।চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ফলে জন্ম হয়েছে নতুন এক প্রজন্মের।যাকে বলা যায় "প্রজন্ম ২৪"।

স্বাধীনতা থেকে প্রজন্ম চব্বিশ- ভাবতে ভালোই লাগে।একাত্তর সালে আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম।স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান ঘোষিত হয়েছিল।বীর বাঙালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর- এই ছিল শ্লোগান।ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান একটি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল আর চব্বিশ কী একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্ম দিতে পারে না?এমনকি জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল মুখ্য ভূমিকায় যেতে পারে।আমরা প্রজন্ম ২৪-র নেতৃত্ব দিয়েছি, বিপুল পরিমাণ ছাত্রজনতাকে একত্রিত করতে পেরেছি।শ্রমিক শ্রেণীর রাষ্ট্রে এনপিসি হতে পারে একমাত্র বিকল্প।আশা করা যায়, সেই স্বপ্ন নিয়ে বর্তমান প্রজন্ম এগিয়ে যাবে।

চব্বিশ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।যার সাফল্য ঈর্ষণীয় ও হৃদয়ে শিহরণ জাগায়।আমাদের চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে।অন্যান্য জাতি ও দেশ থেকে যা আমাদের স্বতন্ত্র মর্যাদা দিয়েছে।মগের মুল্লুকের দেশটা হয়ে উঠছে মর্যাদাশীল।বাংলাদেশ যেখানে বিশ্বের কাছে নগণ্য ছিল সেখানে বর্তমান বাংলাদেশ দারুণ এক উপলব্ধির।এই বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদা অর্জন করুক; এই আমাদের একান্ত কাম্য।

খড় জনতা(Straw People) ও পাতিগোষ্ঠী(Short Tribe) - Mushfiq Borat

25 Sep, 2024, No comments
খড় জনতাকে(Straw People) নিয়ে ইদানীং কমিউনিস্ট পার্টি খুব বিপদে।জনসাধারণের পুরো গোষ্ঠীটাই তা নয়।শহরে নয়, গ্রাম-গঞ্জে‌ যাদের উৎপাত লক্ষ্য করা যায়।এ বৈশিষ্ট্যটি অশিক্ষিত মূর্খ জনতার, সাধারণ জনতার নয়।যারা মোটেও দৈনিক পত্রিকা পড়তে জানে না, বই পড়তে পারে না।অর্থাৎ রাষ্ট্রভাষা বা মাতৃভাষায় অনীহা।মাতৃভাষা বাদ দিয়ে যারা ইংরেজি বা অন্য ভাষার চর্চা করেন তারাও এক প্রকারের খড় জনতা।এসব জনতার জন্য একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টিই বন্ধু হতে পারে।

শ্রমিক-কৃষক বাদ দিয়ে সাধারণ জনগণের একটি ছোট অংশ খড় জনতা।এদেরকে কীভাবে বন্ধু বানানো যায় তা নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি চিন্তিত।এমন‌ জনতার সমাজে কী প্রয়োজন থাকতে পারে!অধিকার আদায়ের শ্লোগান নেই তারপরও আপন স্বার্থ নিয়ে ভাবনা নেই।অর্থাৎ শ্রেণীস্বার্থের কথা বলা হচ্ছে।এরা লুম্পেন প্রলেতারিয়েত নয়।এরা শুধু টাকার পেছনে ছোটে।অর্থগত জটিলতাই এদের কাছে সবকিছু ও নারীদেহের মূল্যায়ন হলো সমাধান।তবু‌ শ্রমিক-কৃষকের বন্ধু হতে পারে এই খড় জনতা।

খড় জনতা সম্বন্ধে আমরা সকলেই জানি।শহরে-গ্রামে ছোট ছোট চায়ের দোকানে এদের অবস্থান।কখনো কখনো‌ এই ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটিই সমাজের পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।আবার সকলে তাও মেনে নিতে বাধ্য হয়।শেষমুহুর্তে অর্থের যুক্তির কাছে হারিয়ে দিয়ে আসে গুটিকতককে।লুম্পেনের কাছেও যদি পরাজয় ঘটে তবে খড় জনতাও ফ্যাক্টর।তবে তারা লুম্পেনের চেয়ে অধিক।সমাজে কুসংস্কার ছড়ায় ও মাজার-মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করে।এভাবে খড় জনতার অর্থযুক্তির কাছে দলে দলে পরাজয় বাঞ্ছনীয় নয়।

পৃথিবীতে একটা শ্রেণী আছে যাদের কোনো শ্রেণী চরিত্র নেই।এদের কাছে নিজের স্বার্থটুকুই সব।শ্রমিকের স্বার্থ বোঝার অবকাশ নেই।যাদের আমি 'পাতিগোষ্ঠী' বলছি।পুঁজিবাদী বিষম কোণঠাসা জগতে যেন এরাই পাতি নেতা।খাঁটি নেতৃত্বের চেয়েও বড় নেতৃত্ব।পাতি নেতৃত্ব, পাতি আচরণ।খারাপ ভাষায় কথা বলে, জনগণের ভাষায় নয়।নূন্যতম অর্থ চেতনা নেই।এখনকার সময়ে যেখানে ভালো ব্যবহারটুকুই ভরসা সেখানে তাদের জঘন্য আচরণ।ব্যতিক্রম শুধু দু'একজন।নাপিত, মুচি, চা-পান-সিগারেটের দোকানী ইত্যাদি।এরা মুহুর্তের মধ্যে কাউকে হিরো বানায়, কাউকে ডুবিয়ে দেয়।ভাবখানা এমন যেন জগতটা এদের নির্দেশেই চলে।লেখক-সাহিত্যিক বা বুদ্ধিজীবীর মূল্য তাদের কাছে নেই।এমনকি খড় জনতাও বুদ্ধিজীবীর গুরুত্ব বোঝে।

পাতিগোষ্ঠীর কোনো সংঘ থাকে না।সংঘ ধরে রাখতে পারে না বা কেউই মেনে নেয় না।পাতিগোষ্ঠী মনে করে, শ্রমিক ও কৃষক ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির কোনো সাপোর্ট নেই।এমনকি নূন্যতম অর্থসঙ্গতিটুকু নেই।আসলে কী তাই?

ভাববাদীদের সাথে খড় জনতা ও পাতিগোষ্ঠীর পার্থক্য বিস্তর।খড় জনতা মসজিদ-মন্দিরে আশ্রয় নেয় বাঁচার জন্যে।ভাববাদীরা আশ্রয় গ্রহণ করে নিছক উপাসনার জন্যে।শত অশিক্ষিতের ভীড়ে তারা একপ্রকার শিক্ষিত বটে।খড়েরা সমাজ থেকে প্রত্যেকেই মটরসাইকেল উপহার পায়।সানন্দে গ্রহণ করে।এরা এক ধরণের আধুনিক মাওলানা।স্মার্ট মাওলানা বললেও ভুল হবে না।

ম্যাজিস্ট্রেসির পাওয়ারে সেনাবাহিনী - কমরেড মুশফিক বরাত

18 Sep, 2024, No comments
ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী।বিষয়টা মোটেও শুভকর নয়।আগামী দু'মাসের বাংলাদেশের জন্য যা অশনি সংকেত।দেশ সেনাবাহিনীর গণলুটের মধ্যে পড়তে পারে।তাদের হাতে অস্ত্র আছে; বাংলাদেশ আর্মি, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী মিলিয়ে তিন বাহিনী আছে।সবমিলিয়ে ৩২টি ক্যান্টনমেন্ট বা সেনানিবাস আছে।এটা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের পূর্বের সবগুলো রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রীদের ব্যর্থতা।এটা ক্ষমাহীন একটা গুরুতর অপরাধ।যাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যখন-তখন নিরাপরাধ জনগণকে গুলি করার ক্ষমতা পেয়ে যাবে সেটা নিশ্চয়ই নিছক মজাদার কোনো বিষয় নয়।দুপুরে-রাতে নিরীহ ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করবে সেটাও ভালো দেখাবে না।তাছাড়া আইন-আদালতে গিয়ে খবরদারি আমরা মেনে নেব না।

তাই জনগণ এ চক্রান্ত যেকোনো মূল্যে রুখে দেবার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

প্রসঙ্গঃ জাতীয় সংগীত - কমরেড মুশফিক বরাত

8 Sep, 2024, No comments
১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক রচিত ' আমার সোনার বাংলা ' সংগীতটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় যা স্বদেশী আন্দোলনের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।এ গান প্রচারিত হতো বঙ্গভঙ্গবিরোধী রাজনীতিক, স্বদেশ কর্মী ও বিপ্লবীদের দ্বারা।এভাবে তারা বাঙালী জনগণকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেন।

এটা অনেকটা বাংলাদেশি বাউল গানের মতো। বঙ্গমাতার উপর ভিত্তি করে রচিত এই বাউল গানটি নিয়ে বিরোধীতা থাকা উচিত নয় কারণ বাউল গান বাংলার লোকজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি।বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ' আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ' গানটি পরিবেশন করে।পরবর্তীতে গানটি অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার চেতনার ধারক হয়ে উঠে।বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাতে ভূমিকা রেখেছে।

প্রগতি আদিবাসী পরিষদ-এর আট দফাঃ

5 Feb, 2024, No comments
১. আরাকান রাজ‍্য মুক্ত কর।

২. রাখাইন সম্প্রদায়ের নিজ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাও।

৩. স্বাধীন মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করুন।

৪. অসাম্প্রদায়িক মিয়ানমার গঠনে সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত কর।

৫. আশু সমাজতান্ত্রিক মিয়ানমার প্রয়োজন।সকলে ঐক‍্যবদ্ধ হউন।

৬. ধর্মনিরপেক্ষ ও আরাকান জাতীয়তাবাদের লাল পতাকায় সামিল হউন।

৭. স্বাধীন মিয়ানমারে সমাজতন্ত্রের ঘোষণা দাও, দিতে হবে।

৮. সঠিক দ্বান্দ্বিক বিবর্তনের চর্চা অব‍্যাহত রাখুন।

Business to Equality( B to E )

4 Jan, 2024, No comments
*** B to E system : ব‍্যবসার জগতে প্রাথমিক সমাজতান্ত্রিক ধাপ - Mushfiq Borat ***

বলা হচ্ছে, Business to Equality System-এর কথা।শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক, B2B( ব‍্যবসা থেকে ব‍্যবসা )-র বাণিজ্য ও মিথস্ক্রিয়াকে যা B2C-র বিপরীত।লেনদেনে জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া, দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক ও পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মাধ‍্যমে মূল‍্য তৈরির উপর নির্ভর করে।কোম্পানিগুলোর মধ‍্যে কৌশলগত সহযোগী উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন‍্য, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উপযোগী।

এক জায়গা থেকে অন‍্য জায়গায় পণ‍্য পৌঁছে দিতে কয়েক মাস লেগে যেত।সেই দিন আর নেই।সময় ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে পণ‍্য ও সেবা প্রদান এখন সহজ হয়ে গেছে।একাধিক বিকল্প আছে যেমন একই দিন বিতরণ, স্ট‍্যান্ডার্ড ডেলিভারি, মিডনাইট ডেলিভারি ইত‍্যাদি।আসুন জেনে নেই, সাপ্লাই চেইন কি?
সাপ্লাই চেইনের চারটি উপাদান।
১.ইন্টিগ্রেশন ২.অপারেশন ৩.ক্রয় ৪.বিতরণ।

B2B হলো ব‍্যবসা থেকে ব‍্যবসা বিভাগ এবং B2C হলো ব‍্যবসা থেকে ভোক্তা বিভাগ। B2B-তে লেনদেন একটি ব‍্যবসার সাথে অন‍্য একটি ব‍্যবসার হয় অন‍্যদিকে B2C-তে লেনদেনটি কোম্পানি থেকে শেষ ব‍্যবহারকারীর অর্থাৎ ভোক্তার মধ‍্যে হয়।সর্বোপরি মার্কেটিং কৌশল, গ্রাহক ধরে রাখা, অংশীদারিত্ব, কন্টেন্ট মার্কেটিং, অ‍্যাকাউন্ট পরিচালনা ইত‍্যাদি B2B মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা।

ব‍্যবসা থেকে ব‍্যবসা প্রক্রিয়ায় ৮০ শতাংশই ই-কমার্সের অন্তর্ভুক্ত।উদাহরণঃ আলিবাবা ডটকম।অন‍্যদিকে Business to Consumer/Customer অর্থাৎ ব‍্যবসা থেকে গ্রাহক কোনো ব‍্যবসার শেষ গ্রাহকের মধ‍্যে বাণিজ্য লেনদেনের বর্ণনা দিতে ব‍্যবহৃত হয়।সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পণ‍্য বিক্রয় করার প্রক্রিয়াটিকে বোঝায়, দোকানে দোকানে কেনাকাটা করা বা হোটেল-রেস্তোরায় খাওয়াসহ।যেমনঃ দারাজ ডট কম। Business to Equality হলো সমতার সদ্ভাব তৈরির প্রাথমিক ধাপ।এটাকে হতে হবে, সবচেয়ে কম মূল‍্যের প্রয়োজনীয়তার উপর।ব‍্যবসার যতোগুলো সেক্টর আছে সবগুলোতেই নির্দিষ্ট দামের উপর নির্ভরশীল।নির্দিষ্ট পরিমাণ Customers-র জন‍্য সস্তায় নির্ধারিত।ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে যা প্রযোজ‍্য অন‍্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানির জন‍্য নয়।বর্তমান সময়ের চেয়ে আরো অধিক পুরোনো কিন্তু গতিশীল।ব‍্যবসায়িক সমস্ত সেক্টরের জন‍্য এটি প্রযোজ‍্য।সমতা ও সাম‍্যের ভাব তৈরিতে প্রদর্শিত হবে।ব‍্যবসা থেকে ব‍্যবসা বা ব‍্যবসা থেকে ভোক্তা উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে কম রেটে সমভাবাপন্ন।অনেকটা সমাজতান্ত্রিক দেশের ন‍্যায়, Customer -র প্রয়োজনে সবচেয়ে সস্তায় প্রদর্শিত হয়।বিনিয়োগ কম, লাভ কম।ব‍্যবসায়িক গ্রুপের ক্ষেত্রে যা ব‍্যবহৃত হতে পারবে না।যাকে হতে হবে, প্রত‍্যেক ব‍্যবসায়ী বা ব‍্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্ভাবন।একদিনের প্রক্রিয়া নয় যা হবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশবিশেষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক ফ্রন্টের ( এনপিসি ) দশ দফা দাবিনামাঃ

10 Nov, 2023, No comments
১. রেলওয়ে ৪০% কোঠা অনুযায়ী ছেলে-মেয়েদের নিয়োগ দাও।

২. পূর্বের ন‍্যায় কর্মরত অবস্থায় মৃত‍্যুবরণ করলে পোষ‍্যদের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীতে নিয়োগ দান।

৩. রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক আবাসন ব‍্যবস্থা চালু কর।

৪. প্রকল্প ও অস্থায়ী টিএলআরদের তিন বছর কর্মরত থাকলে আইন অনুযায়ী চাকুরী স্থায়ীকরণ করতে হবে।

৫. রেলওয়ে পাশের জন‍্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ আন্তঃনগর ট্রেনের সিট বরাদ্দ রাখতে হবে।

৬. তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী পদোন্নতির ব‍্যবস্থা কর, করতে হবে।

৭. সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন‍্য আধুনিক ইউনিফর্মের ব‍্যবস্থা করা।

৮. স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রেনিংয়ের মাধ‍্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে সঠিকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা।যাত্রী সেবা ও মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

৯. পূর্বের ন‍্যায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আর.এন.বি দ্বারা ট্রেন পরিচালনা করা।

১০. সমগ্র বাংলাদেশকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা।

একুশে চেতনা পরিষদ --- Mushfiq Borat

21 Aug, 2023, No comments
একুশে চেতনা পরিষদ গঠিত হয় ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।পার্টির প্রেসিডেন্ট মুশফিক বরাতের বাবা ছিলেন তার আজীবন সভাপতি।সেখানকার মিটিংগুলোতে বরাবর একটি কমিউনিস্ট-সোশ‍্যালিস্ট পার্টির প্রয়োজনীয়তার কথা প্রাধান্য পেত। ১৪ বছরের সাংগঠনিক জীবনে তিনি পর পর ১৪ বারের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।পার্টির প্রেসিডেন্ট ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস‍্য ও পরবর্তীতে সাহিত‍্য বিষয়ক সম্পাদক।তাদের কেন্দ্রীয় অফিস ছিল।পরবর্তীতে একুশে চেতনা পরিষদের একটি বিরাট অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলে যোগ দেয়।বেনজিন রিং সোসাইটি ( বিআরএস ) গঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে।যেটি এনপিসির প্রথম অঙ্গসংগঠন।

National Progressive Council ( Marxist-Boratist ) ছয় দফা :

22 Jun, 2023, No comments
১. নিত‍্যপ্রয়োজনীয় দ্রব‍্যমূল‍্যের দাম কমাও।
২. মহাকাশবিজ্ঞানের স্বার্থে "জাতীয় মহাকাশ নীতি" ঘোষণা কর।
৩. জাতীয় বাজেটে মহাকাশ গবেষণায় ৫% বরাদ্দ দিতে হবে।
৪. বাংলাদেশের বাজেটে বেকারদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব‍্যবস্থা করুন।
৫. সরকারি বাজেটে অভ‍্যাসগত খাদ‍্যের ( habitual food ) দাম কমাতে হবে।
৬. গরীবের উপর অত‍্যাচার রুখে দাঁড়াও।করযোগ‍্য আয় না থাকলেও ২০০০ টাকা আয়কর দেওয়ার বাধ‍্যতা চলবে না।

রানা প্লাজা ট্র‍্যাজেডি --- কমরেড মুশফিক বরাত

17 Apr, 2023, No comments
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল, বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ‍্যায়।দিনটিতে সাভারের ৯ তলা ভবন ' রানা প্লাজা' ধ্বসে পড়েছিল।তাতে মৃত‍্যু ঘটে ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিকের।বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এ শিল্প দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক।রানা প্লাজায় বেঁচে যাওয়া ৫৪.৫ শতাংশ এখনো কর্মহীন।তাদের মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা ও শারীরিক অবস্থা এখনো করুণ।মানসিক ট্রমায় আক্রান্ত ২৯ শতাংশের মধ‍্যে ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন, তাদের মধ‍্যে ভবন ধ্বসে পড়ার ভয় ভীষণরকম কাজ করে।

স্বাস্থ‍্য ও নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্ট এ ব‍্যাপারে পার্টিগতভাবে হতাশা ব‍্যক্ত করেন।জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলের সভাপতি কমরেড মুশফিক বরাত বলেছেন, এমন ট্র‍্যাজেডি বাংলাদেশে যেন আর কখনোই না ঘটে।এ ব‍্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন ভীষণ জরুরী।বিশেষ করে, সরকারের সুদৃষ্টি একান্তই কাম‍্য।

An open proposal letter to communist party planet earth from NPC & Benzene Ring Society by president Mushfiq Borat

10 Apr, 2023, No comments
রাজনৈতিক দলগুলোর দুটো ধারা রয়েছে।ডানপন্থী ও বামপন্থী।মধ‍্যপন্থী বলতে কোনো বক্তব‍্য নেই।

এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে বামপন্থা কী?
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ বা মাওবাদকে একত্রে বলা হয় মার্কসবাদী।আর দ্বান্দ্বিক বিবর্তনবাদকে বলা যায় বরাতবাদ ( Boratism).তাহলে বামপন্থা হলো দুটো- দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ আর দ্বান্দ্বিক বিবর্তনবাদ। NPC ( National Progressive Council ) এই দ্বিতীয় ধারার প্রথম রাজনৈতিক দল।তাও পুরো পৃথিবীর মধ‍্যে।

তাদের উভয়ের লক্ষ‍্য দেশে দেশে সমাজতান্ত্রিক সমাজব‍্যবস্থা কায়েম করা।এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ‍্যমে তদানুযায়ী যুগপৎ আন্দোলনে প্রবেশ করা।

এনপিসির সাথে কাজ করুন।শ্রমিকদের নিয়ে দলে দলে যুক্ত হন।পুঁজিবাদী বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব অবশ‍্যম্ভাবী।প্রথমতঃ শ্রমিকদের একত্রিত করার দায়িত্ব নিতে হবে।আর কৃষকদের সাথে মৈত্রীর ভিত্তিতে বিপ্লব করতে হয়।পেটি বুর্জোয়া গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে এসে কমিউনিস্ট পার্টি যে দায়িত্ব নিয়েছে।আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্ট যে লক্ষ‍্য নিয়ে এগুচ্ছে।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্টের বক্তব্য হলো- We are the Boratist.


Load more

Recent Posts

  • India-Pakistan War
    11 May, 2025
  • চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য - কমরেড মুশফিক বরাত
    21 Feb, 2025
  • মহাজনী লুটেরা বনাম নব্য ফ্যাসিবাদ - কমরেড মুশফিক বরাত
    7 Feb, 2025
  • বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ও এনপিসির জন্মলাভ - কমরেড মুশফিক বরাত
    28 Dec, 2024
  • সেনা বিদ্রোহের আলামত ও বাংলাদেশ - কমরেড মুশফিক বরাত
    24 Dec, 2024
  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করুন - কমরেড মুশফিক বরাত
    6 Dec, 2024
  • কর্তৃত্ববাদী সরকারের অরাজকতা - মুশফিক বরাত
    3 Nov, 2024

This is the huge collection of writer Mushfiq Borat

Created with Mozello - the world's easiest to use website builder.

Create your website or online store with Mozello

Quickly, easily, without programming.

Report abuse Learn more