India-Pakistan War

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য - কমরেড মুশফিক বরাত
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালীর প্রাণের উৎসব।বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে যা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছে।বায়ান্ন সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যার আবেদন একটুও কমেনি।আজ বিশ্ববাসী আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছি।ভারত ও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সমান জনপ্রিয়।ঢাকা থেকে এই রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।জাতিসংঘসহ অসংখ্য সংগঠন এই দিবস পালন করে।ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাও মানুষের কাছে সমান গুরুত্ব পাক এই প্রত্যাশা রাখি।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের অভ্যন্তরে মহাজনী পুঁজি জমা হচ্ছে, একত্রিত হচ্ছে।তারা রাজনৈতিক কূটকৌশল জানিয়েছে যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কাজে লাগাবে।যুগে যুগে ফ্যাসিবাদ এভাবেই নির্বাচনকে কাজে লাগায়।অন্যদিকে নব্য ফ্যাসিবাদ এরকম টালমাটাল অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগ খুঁজছে পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতা হাতিয়ে নেবার।বামপন্থীদের এমন ঘৃণ্য মুহূর্তে আবারো একত্রিত থাকতে হবে।সজাগ থাকতে হবে যেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বিফলে না যায়।মহাজনী লুটেরাদের সাথে বিএনপির সখ্যতা দেখা যাচ্ছে।এক বুর্জোয়ার সাথে আরেক বুর্জোয়ার সখ্যতা বাড়তেই পারে।বিএনপি নব্য ফ্যাসিবাদ থেকে বেশ সজাগ রাজনৈতিক দল।অন্যদিকে বাকি পার্টিগুলো নব্য ফ্যাসিবাদকে এদেশে পাকাপাকি অবস্থান করে দেবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।দেখা যাক, কার জয় হয়?এসব লুটেরাদের নাকি বামপন্থী কমিউনিস্ট শক্তির।
মহাজনী লুটেরা বনাম নব্য ফ্যাসিবাদ - কমরেড মুশফিক বরাত
ত্রিশের দশকের মধ্যভাগে ফ্যাসিস্ট হিটলার-মুসোলিনী-ফ্রাঙ্কোর যুদ্ধোন্মত্ততার প্রেক্ষিতে প্যারিস, মাদ্রিদ ও ব্রাসেলস-এ বিশ্বশান্তি ও সভ্যতা রক্ষায় বেশ কয়েকটি বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৩৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলেও পৃথিবীর দেশে দেশে শান্তির সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। জার্মান পদানত ফরাসি দেশে শত নিপীড়ন-নির্যাতন এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বশান্তি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক জুলিও ক্যুরি (১৯০০-১৯৫৮) যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘বিশ্বশান্তি পরিষদ’ গঠন করেছেন, যা বিশ্ব শান্তি আন্দোলনের ইতিহাসের চিরদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালের ১৯ মার্চ প্যারিসে এবং মারা যান ১৯৫৮ সালের ১৪ আগস্ট।
মহাজনী লুটেরা হচ্ছে ব্যাংক পুঁজি ও ব্যবসা পুঁজির সম্মিলন।বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে মহাজনী লুটেরাদের সহযোগিতা দিচ্ছে ও ব্যাংক পুঁজিকে সামনে আনছে; আরো বিশাল করে তুলছে।কর্তৃত্ববাদী সরকারের অভ্যন্তরে কিছু বুর্জোয়া-পেটি বুর্জোয়া পার্টি কর্তৃক মহাজনী লুটেরা প্রাধান্য পাচ্ছে।অন্যদিকে পাশাপাশি বেড়ে উঠছে নব্য ফ্যাসিবাদ।আগেরকালের মহাজনদের জন্য ঋণের মুনাফাই ছিল মুখ্য, তার জালে পড়ে সর্বস্বান্ত হতো গরিব কৃষকেরা।বর্তমান বৈশ্বিক মহাজনদের কাছে ঋণের মুনাফা গৌণ।প্রধান হলো ঋণ জালে কনসালট্যান্ট, দেশীয় সুবিধাভোগী আর শর্তাবলীর বড় খোপে ফেলে দেশের গতিমুখ নির্ধারণ করা; দেশের লুটেরা আর বহুজাতিক পুঁজির জন্য দেশ উন্মুক্ত করা।
মহাজনী লুটেরা বনাম নব্য ফ্যাসিবাদ- এই হলো বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ।এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হচ্ছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে সামনে নিয়ে আসা।অতি দ্রুত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ঘোষণা দেওয়া ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রস্তুত রাখা।মবজাস্টিস ও মবটেরোরিস্ট থেকে দূরে থাকা।বাংলাদেশকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করা।দেশকে স্থিতিশীল রাখতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও প্রগতি ছাত্র ফ্রন্টকে প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে।নব্য ফ্যাসিস্ট থেকে সর্বদা সজাগ থাকা ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাটাও জরুরী।জাতিকে এমন সংকটজনক মুহূর্তে একাকী ফেলে রাখা যায় না।বাংলাদেশকে তার অতীত গৌরব নিয়ে অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ও এনপিসির জন্মলাভ - কমরেড মুশফিক বরাত
সেনা বিদ্রোহের আলামত ও বাংলাদেশ - কমরেড মুশফিক বরাত
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করুন - কমরেড মুশফিক বরাত
কর্তৃত্ববাদী সরকারের অরাজকতা - মুশফিক বরাত
প্রজন্মযোদ্ধা ও আমরা - কমরেড মুশফিক বরাত
প্রজন্মযোদ্ধাদের হতে হবে সাহসী।শত্রুর দূর্গ নিমেষেই ভেদ করার সক্ষমতা রাখবে তারা।এগিয়ে যাবে সম্মুখ পানে মাথা উঁচু করে।সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলার আকাশ, নৌপথ ও স্থলভাগ সবসময় দখলে রাখবে।ঊনসত্তুরের পরাজিত শক্তির আর বাংলার মাটিতে ঠাঁই হবে না।বাংলার আকাশ আমরা রাখিব মুক্ত।দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সাম্রাজ্যবাদকে পরাভূত করবে।জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখন এই প্রজন্মের হাতে।প্রজন্ম ২৪ আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছে।ঢাকাসহ সারাদেশে এনপিসি নেতৃত্ব দিচ্ছে ও আবারো ছাত্রজনতাকে একত্রিত করছে।এই সংঘবদ্ধ শক্তিটি যেকোনো মুহূর্তে দেশের অভ্যন্তরীণ শত্রুকে দাবিয়ে দেবে।সেই আশাবাদ তো নিশ্চয়ই রাখা যায়।
উন্নত ধনী দেশগুলোতে বর্তমানে জমকালো পোশাকধারী ম্যাজিশিয়ান ভিক্ষুকের জন্ম হয়েছে।আর তৃতীয় বিশ্ব জন্ম দিয়েছে নাঙ্গা ভিক্ষুকের।এক ভিক্ষুক যেখানে আরেক ভিক্ষুকের প্রতিপক্ষ।বিষয়টা বেশ মজাদার।এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, একজন ভিক্ষুকের কাছে সমাজতন্ত্রের কী মূল্য থাকতে পারে!ভিক্ষুকের কাছে সমাজতন্ত্র চেয়ে লাভ কী?
একটা বিপ্লব রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।তেমনি গণঅভ্যুত্থান বিপ্লবের প্রতিনিধিত্ব করে।সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে সাফল্যমন্ডিত করে ও বিপ্লবের গৌরব বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।গণঅভ্যুত্থানকালীন সময়ে জনগণ কর্তৃক ঘটিত যে অপরাধপ্রবণতা তাকে ক্ষমা করে দিতে হয়।এটা সেই উত্তাল-উত্তেজনাপূর্ণ মুহুর্তেরও বৈধতা।এক অর্থে বলা যায়, এটা সেই সংকটকালীন সময়ের স্বাভাবিকতা।কিন্তু বিপ্লব সম্পন্ন বা সফল হবার কিছুদিন পরে সঠিক রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি হলে তা আর পূর্বের ন্যায় বলবৎ থাকবে না।জনতার বিচার তখন মবজাস্টিসে পরিণত হয়।কমিউনিস্ট পার্টির সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এই যে মবজাস্টিস তা হলো এক ধরণের মব টেরোরিস্ট কায়দা।একে এখন প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার সময় এসেছে।
১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক রচিত ' আমার সোনার বাংলা ' সংগীতটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় যা স্বদেশী আন্দোলনের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।এ গান প্রচারিত হতো বঙ্গভঙ্গবিরোধী রাজনীতিক, স্বদেশ কর্মী ও বিপ্লবীদের দ্বারা।এভাবে তারা বাঙালী জনগণকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেন।
এটা অনেকটা বাংলাদেশি বাউল গানের মতো। বঙ্গমাতার উপর ভিত্তি করে রচিত এই বাউল গানটি নিয়ে বিরোধীতা থাকা উচিত নয় কারণ বাউল গান বাংলার লোকজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি।বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ' আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ' গানটি পরিবেশন করে।পরবর্তীতে গানটি অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার চেতনার ধারক হয়ে উঠে।বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাতে ভূমিকা রেখেছে।
শারদীয় দুর্গোৎসব ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা - কমরেড মুশফিক বরাত
প্রজন্ম ২৪ - কমরেড মুশফিক বরাত
স্বাধীনতা থেকে প্রজন্ম চব্বিশ- ভাবতে ভালোই লাগে।একাত্তর সালে আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম।স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান ঘোষিত হয়েছিল।বীর বাঙালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর- এই ছিল শ্লোগান।ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান একটি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল আর চব্বিশ কী একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্ম দিতে পারে না?এমনকি জাতীয় প্রগতি কাউন্সিল মুখ্য ভূমিকায় যেতে পারে।আমরা প্রজন্ম ২৪-র নেতৃত্ব দিয়েছি, বিপুল পরিমাণ ছাত্রজনতাকে একত্রিত করতে পেরেছি।শ্রমিক শ্রেণীর রাষ্ট্রে এনপিসি হতে পারে একমাত্র বিকল্প।আশা করা যায়, সেই স্বপ্ন নিয়ে বর্তমান প্রজন্ম এগিয়ে যাবে।
চব্বিশ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।যার সাফল্য ঈর্ষণীয় ও হৃদয়ে শিহরণ জাগায়।আমাদের চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে।অন্যান্য জাতি ও দেশ থেকে যা আমাদের স্বতন্ত্র মর্যাদা দিয়েছে।মগের মুল্লুকের দেশটা হয়ে উঠছে মর্যাদাশীল।বাংলাদেশ যেখানে বিশ্বের কাছে নগণ্য ছিল সেখানে বর্তমান বাংলাদেশ দারুণ এক উপলব্ধির।এই বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদা অর্জন করুক; এই আমাদের একান্ত কাম্য।
খড় জনতা(Straw People) ও পাতিগোষ্ঠী(Short Tribe) - Mushfiq Borat
শ্রমিক-কৃষক বাদ দিয়ে সাধারণ জনগণের একটি ছোট অংশ খড় জনতা।এদেরকে কীভাবে বন্ধু বানানো যায় তা নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি চিন্তিত।এমন জনতার সমাজে কী প্রয়োজন থাকতে পারে!অধিকার আদায়ের শ্লোগান নেই তারপরও আপন স্বার্থ নিয়ে ভাবনা নেই।অর্থাৎ শ্রেণীস্বার্থের কথা বলা হচ্ছে।এরা লুম্পেন প্রলেতারিয়েত নয়।এরা শুধু টাকার পেছনে ছোটে।অর্থগত জটিলতাই এদের কাছে সবকিছু ও নারীদেহের মূল্যায়ন হলো সমাধান।তবু শ্রমিক-কৃষকের বন্ধু হতে পারে এই খড় জনতা।
খড় জনতা সম্বন্ধে আমরা সকলেই জানি।শহরে-গ্রামে ছোট ছোট চায়ের দোকানে এদের অবস্থান।কখনো কখনো এই ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটিই সমাজের পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।আবার সকলে তাও মেনে নিতে বাধ্য হয়।শেষমুহুর্তে অর্থের যুক্তির কাছে হারিয়ে দিয়ে আসে গুটিকতককে।লুম্পেনের কাছেও যদি পরাজয় ঘটে তবে খড় জনতাও ফ্যাক্টর।তবে তারা লুম্পেনের চেয়ে অধিক।সমাজে কুসংস্কার ছড়ায় ও মাজার-মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করে।এভাবে খড় জনতার অর্থযুক্তির কাছে দলে দলে পরাজয় বাঞ্ছনীয় নয়।
পৃথিবীতে একটা শ্রেণী আছে যাদের কোনো শ্রেণী চরিত্র নেই।এদের কাছে নিজের স্বার্থটুকুই সব।শ্রমিকের স্বার্থ বোঝার অবকাশ নেই।যাদের আমি 'পাতিগোষ্ঠী' বলছি।পুঁজিবাদী বিষম কোণঠাসা জগতে যেন এরাই পাতি নেতা।খাঁটি নেতৃত্বের চেয়েও বড় নেতৃত্ব।পাতি নেতৃত্ব, পাতি আচরণ।খারাপ ভাষায় কথা বলে, জনগণের ভাষায় নয়।নূন্যতম অর্থ চেতনা নেই।এখনকার সময়ে যেখানে ভালো ব্যবহারটুকুই ভরসা সেখানে তাদের জঘন্য আচরণ।ব্যতিক্রম শুধু দু'একজন।নাপিত, মুচি, চা-পান-সিগারেটের দোকানী ইত্যাদি।এরা মুহুর্তের মধ্যে কাউকে হিরো বানায়, কাউকে ডুবিয়ে দেয়।ভাবখানা এমন যেন জগতটা এদের নির্দেশেই চলে।লেখক-সাহিত্যিক বা বুদ্ধিজীবীর মূল্য তাদের কাছে নেই।এমনকি খড় জনতাও বুদ্ধিজীবীর গুরুত্ব বোঝে।
পাতিগোষ্ঠীর কোনো সংঘ থাকে না।সংঘ ধরে রাখতে পারে না বা কেউই মেনে নেয় না।পাতিগোষ্ঠী মনে করে, শ্রমিক ও কৃষক ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির কোনো সাপোর্ট নেই।এমনকি নূন্যতম অর্থসঙ্গতিটুকু নেই।আসলে কী তাই?
ভাববাদীদের সাথে খড় জনতা ও পাতিগোষ্ঠীর পার্থক্য বিস্তর।খড় জনতা মসজিদ-মন্দিরে আশ্রয় নেয় বাঁচার জন্যে।ভাববাদীরা আশ্রয় গ্রহণ করে নিছক উপাসনার জন্যে।শত অশিক্ষিতের ভীড়ে তারা একপ্রকার শিক্ষিত বটে।খড়েরা সমাজ থেকে প্রত্যেকেই মটরসাইকেল উপহার পায়।সানন্দে গ্রহণ করে।এরা এক ধরণের আধুনিক মাওলানা।স্মার্ট মাওলানা বললেও ভুল হবে না।
ম্যাজিস্ট্রেসির পাওয়ারে সেনাবাহিনী - কমরেড মুশফিক বরাত
প্রসঙ্গঃ জাতীয় সংগীত - কমরেড মুশফিক বরাত
প্রগতি আদিবাসী পরিষদ-এর আট দফাঃ
২. রাখাইন সম্প্রদায়ের নিজ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাও।
৩. স্বাধীন মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করুন।
৪. অসাম্প্রদায়িক মিয়ানমার গঠনে সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত কর।
৫. আশু সমাজতান্ত্রিক মিয়ানমার প্রয়োজন।সকলে ঐক্যবদ্ধ হউন।
৬. ধর্মনিরপেক্ষ ও আরাকান জাতীয়তাবাদের লাল পতাকায় সামিল হউন।
৭. স্বাধীন মিয়ানমারে সমাজতন্ত্রের ঘোষণা দাও, দিতে হবে।
৮. সঠিক দ্বান্দ্বিক বিবর্তনের চর্চা অব্যাহত রাখুন।
Business to Equality( B to E )
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক ফ্রন্টের ( এনপিসি ) দশ দফা দাবিনামাঃ
২. পূর্বের ন্যায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে পোষ্যদের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীতে নিয়োগ দান।
৩. রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা চালু কর।
৪. প্রকল্প ও অস্থায়ী টিএলআরদের তিন বছর কর্মরত থাকলে আইন অনুযায়ী চাকুরী স্থায়ীকরণ করতে হবে।
৫. রেলওয়ে পাশের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ আন্তঃনগর ট্রেনের সিট বরাদ্দ রাখতে হবে।
৬. তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা কর, করতে হবে।
৭. সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আধুনিক ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করা।
৮. স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে সঠিকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা।যাত্রী সেবা ও মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
৯. পূর্বের ন্যায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আর.এন.বি দ্বারা ট্রেন পরিচালনা করা।
১০. সমগ্র বাংলাদেশকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা।
একুশে চেতনা পরিষদ --- Mushfiq Borat
National Progressive Council ( Marxist-Boratist ) ছয় দফা :
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি --- কমরেড মুশফিক বরাত
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্ট এ ব্যাপারে পার্টিগতভাবে হতাশা ব্যক্ত করেন।জাতীয় প্রগতি কাউন্সিলের সভাপতি কমরেড মুশফিক বরাত বলেছেন, এমন ট্র্যাজেডি বাংলাদেশে যেন আর কখনোই না ঘটে।এ ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন ভীষণ জরুরী।বিশেষ করে, সরকারের সুদৃষ্টি একান্তই কাম্য।
An open proposal letter to communist party planet earth from NPC & Benzene Ring Society by president Mushfiq Borat
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে বামপন্থা কী?
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ বা মাওবাদকে একত্রে বলা হয় মার্কসবাদী।আর দ্বান্দ্বিক বিবর্তনবাদকে বলা যায় বরাতবাদ ( Boratism).তাহলে বামপন্থা হলো দুটো- দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ আর দ্বান্দ্বিক বিবর্তনবাদ। NPC ( National Progressive Council ) এই দ্বিতীয় ধারার প্রথম রাজনৈতিক দল।তাও পুরো পৃথিবীর মধ্যে।
তাদের উভয়ের লক্ষ্য দেশে দেশে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করা।এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে তদানুযায়ী যুগপৎ আন্দোলনে প্রবেশ করা।
এনপিসির সাথে কাজ করুন।শ্রমিকদের নিয়ে দলে দলে যুক্ত হন।পুঁজিবাদী বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী।প্রথমতঃ শ্রমিকদের একত্রিত করার দায়িত্ব নিতে হবে।আর কৃষকদের সাথে মৈত্রীর ভিত্তিতে বিপ্লব করতে হয়।পেটি বুর্জোয়া গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে এসে কমিউনিস্ট পার্টি যে দায়িত্ব নিয়েছে।আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্ট যে লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে।প্রগতি শ্রমিক ফ্রন্টের বক্তব্য হলো- We are the Boratist.